তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমিশিম খাচ্ছে দেশটির চিকিৎসকরা। এক প্রতিবেদনে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটির চিকিৎসাসেবার করুণ চিত্র তুলে ধরেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। এ ঘটনায় সিরিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সিরিয়ার হাসপাতালগুলোতে আর তিল ধারণের ঠাঁই নেই। একজন চিকিৎসককে একাই ৪০ থেকে ৪৫ জন মুমূর্ষু রোগী সামাল দিতে হচ্ছে।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিবে আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত শাজুল ইসলাম বলেন, এমন পরিস্থিতি আমার জীবনে এই প্রথম দেখেছি। আমাদের হাসপাতালে তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। আমাদের হাসপাতালে এখন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী আছে। প্রতি বেডে দুই থেকে তিনজন করে রোগী রাখা হয়েছে।
শাজুল ইসলাম আরও বলেন, যেসব রোগীর যাদের অবস্থা কিছুটা ভালো তাদের ভেন্টিলেশনে নেওয়া হচ্ছে। আর আগে থেকে ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের সরিয়ে রাখছি। আমরা আক্ষরিক অর্থেই হাসপাতালের ফটকেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে, কোন রোগীদের বাঁচানোর চেষ্টা করব আর কোন রোগীদের বাঁচানোর চেষ্টা করব না।
ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি পরাঘাত হয়। আজ মঙ্গলবার সকালেও তুরস্কে ভূমিকম্প হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধসে পড়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, যার মধ্যে অনেক বহুতল ভবন রয়েছে।
সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০২ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আহত রয়েছেন কয়েক হাজার। ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আট গুণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।