ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বিএসএফের গুলিতে আরিফুল ইসলাম (২৫) নামে ১ বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার লড়াইঘাট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফুল ইসলাম শ্যামকুড় পশ্চিমপাড়ার আফিজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, নিহত অরিফুলসহ কয়েক জন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গরু আনতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যায়। গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ টহল দলের সামনে পড়ে। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে অরিফুল ইসলাম নিহত হয়। বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ খবর জানতে পারেন। পরে আরিফুলের লাশ ফেরত পাওয়ার জন্য বিজিবির শ্যামকুড় ক্যাম্পে যান।
বিজিবির খালিশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। বুধবার রাতে জিরো লাইন থেকে ভারতের ৫’শ গজ অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। লাশ বিএসএফের পাখিউড়া ক্যাম্পে রয়েছে। এ বিষয়ে বিএসএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে ফরিদ নিহত
এদিকে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া বাংলাবান্ধায় মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলনের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ফরিদ (২৪) নামের এক পাথর শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাবান্ধা ইউপির জায়গীরজোত সীমান্ত এলাকায় ৭৩১ মেইন পিলারের ৭ আর সাব পিলার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। আহত পাথর শ্রমিক ওই এলাকার তমিরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, সকালে সীমান্ত নদী মহানন্দায় পাথর তুলতে যান ফরিদ। মহানন্দায় পাথর উত্তোলনের সময় বিএসএফের ১৭৬ ব্যাটালিয়নের জালাসী ক্যাম্পের বিএসএফ এক সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে গুলি করে। গুলিটি ফরিদের ডান পায়ে লেগে বাঁ-পা দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে নদীর পানিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগ থেকে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে সেখান উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মাহফুজুল হক বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি জিরোলাইনে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে।