সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

হিরো আলমের উপহারের গাড়ি: চলছে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:১৬

বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়া আলোচিত হিরো আলমকে তার এক ভক্তের উপহার দেওয়া মাইক্রোবাসটি এখন বগুড়ার ওয়ার্কশপে। উপহার হিসেবে পাওয়া হিরো আলমের মাইক্রোবাসটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে বগুড়া শহরের বকশিবাজার এলাকার ‘ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টার’ নামের ওয়ার্কশপে নেওয়া নেওয়া হয়েছে। গত শনিবার গাড়িটি বগুড়ায় আনা হয়েছে।
 


গত ৭ ফেব্রুয়ারি হিরো আলমকে উপহার হিসেবে টয়োটা নোয়াহ ১৯৯৮ মডেলের গাড়িটি দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামের শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। গাড়িটি পাওয়ার পরপরই সেটিকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের ঘোষণা দেন হিরো আলম। তিনি গাড়িটি নিয়ে আসার পর জানতে পারেন, গাড়িটির ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ। ওই বছরের ১৫ জুলাই গাড়ির ফিটনেসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এ কারণে গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে হিরো আলমকে দিতে হবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা।

সোমবার সকালে ওই ওয়ার্কশপে গিয়ে দেখা গেছে, হিরো আলমকে দেওয়া উপহারের গাড়িটি রাখা হয়েছে ওয়ার্কশপে। গাড়ির বডির অবস্থা একেবারেই বেহাল। ভেতরের অবস্থাও ভালো নয়। সিটগুলো ছিঁড়ে ফোম বের হয়েছে। গাড়িটি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী।

ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটোসেন্টারের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, হিরো আলম যখন গাড়িটিকে জনগণের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কথা জানান, তখনই গাড়িটি আমাদের ওয়ার্কশপে মেরামত করার পরিকল্পনা করি। এরপর মোবাইল ফোনে হিরো আলমকে বিষয়টি জানাই। তিনিও অনেক খুশি হয়ে আমার প্রস্তাবটি মেনে নেন। গাড়িটি এখন আমাদের ওয়ার্কশপে। গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। কারণ, গাড়িটি অনেক পুরনো। অনেক কাজ করতে হবে। ডেন্টিং করতে হবে। পেইন্ট করতে হবে। ভেতরের আসনগুলো অপসারণ করে অ্যাম্বুলেন্সের সিট বসাতে হবে। অক্সিজেন সিলিন্ডার বসাতে হবে। সাইরেন বসাতে হবে। চাকাগুলো চেঞ্জ করতে হবে। তিনি বলেন, গাড়িটিকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করে হিরো আলমকে দেবেন।


 
যোগাযোগ করা হলে হিরো আলম বলেন, ওয়ার্কশপের মালিকরা ফোন করে বলেছেন তারা বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করে দিতে চেয়েছে। এতে আমি খুশি। এটা করা হলে জনগণের জন্য এই অ্যাম্বুলেন্সটি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের সামনে রাখা হবে। সাধারণ মানুষ এখান থেকে সেবা নিতে পারবে। তবে, ট্যাক্সের টাকার বিষয়ে এখনও বিআরটিএতে যোগাযোগ করা হয়নি। যোগাযোগ করে কিছু টাকা কমানোর জন্য অনুরোধ করব।

ইত্তেফাক/পিও