শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ঢাবির ৪২ কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল, প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে মৌখিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪২ কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিয়োগ বাতিলের এ সিদ্ধান্তকে ‘অমানবিক’ দাবি করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন বঞ্চিতরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি না মেনে বেশ কয়েক বছর আগে অধিভুক্ত কলেজগুলোর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ৫৩ জনকে মৌখিকভাবে নিয়োগ দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহলুল হক। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। 

জানা যায়, ৯ ফেব্রুয়ারি এক কর্মকর্তার জানাজায় উপাচার্য ও দুই উপউপাচার্য অংশ না নেওয়ায় উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে ‘প্রতিবাদী মোনাজাত’ করে আলোচনার জন্ম দেন বাহলুল হক। এরপর তার পরিবার থেকে জানানো হয় তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ‘অনুপস্থিতিতে’ উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছানাউল্লাহকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। এরপরই বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মৌখিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করা হয়।

আন্দোলনরত কর্মচারী মো. সুমন মিয়া বলেন, মৌখিকভাবে ৫৩ জন নিয়োগ পেয়েছিলাম। পাঁচ বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ে করছি। এর মধ্যে ১১ জনের নিয়োগ স্থায়ী হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল আমাদের নিয়োগও স্থায়ী হবে। মঙ্গলবার অফিস শেষে জানানো হয়, দায়িত্ব হস্তান্তর করতে। এখন আমাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানি না।

আকিব রায়হান নামে আরেক কর্মচারী বলেন, ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানিয়েছেন একমাস পর পুনরায় নিয়োগের বিষয়ে জানানো হবে। লিখিতভাবে সেটি জানাতে হবে। মৌখিক কথার কোনো ভিত্তি নেই।   

ফাতিহা আহমেদ নামে আরেক অবস্থানকারী বলেন, আমাদের একটাই দাবি আমাদের ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’, অর্থাৎ আমরা কাজ করলে বেতন পাব, না হলে পাব না এই ভিত্তিতে রাখা হোক।  

উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. ছানাউল্লাহ বলেন, কন্ট্রোলার স্যার (বাহালুল) মৌখিকভাবে তাদের নিয়োগ দিয়েছিলো। আমি দায়িত্বগ্রহণের পর বলেছি, আপাতত কাজ করা লাগবে না, নিয়মমাফিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যখন নিয়োগের কাজ শুরু হবে তখন জানানো হবে।

উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জনবল লাগলে সেটি নিয়মের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজের সুযোগ নেই। লোকবলের চাহিদা আছে। তবে সেটি যথাযথভাবে দেখেশুনে নিয়মনীতি মেনে করতে হবে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও