রোববার, ১১ জুন ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

খুমেক গেট থেকে চুরি হওয়ার ২৪ দিন পর নবজাতক উদ্ধার

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৩

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের গেট থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে ২৪ দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

নবজাতক শিশু বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজঙ্গের তোরাব আলী ও রানী বেগমের ছেলে।

শিশুটিকে বর্তমানে খুমেকের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) টেস্টের জন্য রাখা হয়েছে। তবে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)বন্ধের দিন হওয়ায় টেস্ট হবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সোনাডাঙ্গা থানার এসআই ও তদন্ত কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন বলেন, ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খুমেক হাসপাতাল থেকে ওই নবজাতককে চুরি করা হয়। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি নবজাতকের নানা বেলায়েত হোসেন মামলা করার পর পুলিশ অভিযুক্ত ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে এক সংবাদের ভিত্তিতে কালিয়ার পারকৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।

সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এ ঘটনায় যাদের কাছে শিশুটিকে পাওয়া গেছে তাদের থানায় এনে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের আবার ডাকা হবে। তবে, তারা যাদের কাছ থেকে বাচ্চাটি নিয়েছে তাদেরকেও হাজিরের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শিশুটিকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শিশুটি বর্তমানে মায়ের সঙ্গে খুমেক হাসপাতালের ওসিসিতে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজঙ্গ গ্রামের তোরাব আলী ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুমেক হাসপাতালে তার স্ত্রীকে নিয়ে আসেন। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এরপর নকজাতকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করতে যান তোরাব আলী। তখন তোরাব আলীর সঙ্গে ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক ও তার লোকদের কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় নবজাতক তার খালার কাছে ছিল। তিনি যখন দেখে তার বাবা ও ভাইয়ের মারছে তখন তিনি অস্থির হয়ে পড়েন। পরে তার পাশে থাকা নারীকে নিজের ভাবী মনে করে নবজাতকে তার কাছে দিয়ে মারামারি ঠেকাতে যান এবং সব শেষে এসে সবাই দেখেন নবজাতসহ সেই নারী নেই

ইত্তেফাক/আরএজে