সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

একই পরিবারে সন্তান ২ প্রতিবন্ধী বিপাকে বাবা-মা!

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৬

একই পরিবারে মানসিক, শারিরিক ও বাক প্রতিবন্ধী সন্তান ১১ বছরের আদিয়া হোমেরা মরিয়ম ও চার বছরের সাবিক হাসানকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে গরীব-অসহায় বাবা-মা। অসহায় বাবার পক্ষে দুই সন্তানের জন্য হুইল চেয়ার কিনে দেওয়ার স্বামর্থ্য না সরকারিভাবে হুইল চেয়ারের জন্য আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

দুই সন্তানেই জন্ম থেকেই মানসিক, শারিরিক ও বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় চরম দুর্দিন পার করছেন পরিবারটি। দুই প্রতিবন্ধী সন্তানের দুই হাতের কুনই ও দুই পা বাঁকাসহ চিকন হওয়ায় পঙ্গুত্ব জীবন বরণ করছে দুই শিশু। ফলে ২৪ ঘণ্টায় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাদের। অভাবের কারণে চিকিৎসা তো দূরের কথা দুই সন্তানের মুখে ভালো খাবার তুলে দিতে পারে না পরিবারটিকেও।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতাড়ি গ্রামের রড-মিস্ত্রী আমিনুল ইসলাম ও শাহিদা বেগম দম্পতির এই সন্তানই প্রতিবন্ধী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দরিদ্র রট-মিস্ত্রী আমিনুল ইসলামের কোনো ফসলি জমি নেই। বাবার দেওয়া মাত্র আট শতক জমিতে বসত ভিটা। আমিনুল জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রড-মিস্ত্রীর কাজ করে ৪০০ টাকা আয় করেন। সেই আয় দিয়ে ঢাকায় নিজের জীবন চলার পাশাপাশি বাড়িতে স্ত্রীসহ দুই প্রতিবন্ধী শিশুটিকে নিয়ে চরম হিমশিম খাচ্ছেন পরিবারটি। সংসারে আয় বলে দুই সন্তানের ভাতার টাকা ও রড-মিস্ত্রীর সামান্য আয়ে অতি কষ্টে চার সদস্যের সংসার খেয়ে না খেয়ে চললেও প্রতিবন্ধী দুই সন্তানের জন্য হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার সামর্থ্য নেই তাদের।

বাবা আমিনুল ইসলাম ও মা সাহিদা বেগম জানান, আমাদের অভাবী সংসার। জন্মের পর থেকে দুই সন্তানের চিকিৎসার পেছনে আমরা অনেক টাকা-পয়সা খরচ করেছি। কিন্তু সুস্থ করতে পারেনি বাহে! সেখানে দুই সন্তানের ভরণপোষন ব্যয়ভার মিটিয়ে ছেলে-মেয়ের জন্য হুইল চেয়ার কেনা আমাদের কাছে স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাছেন আলী জানান, পরিবারটি খুবই অসহায়। আমরা পরিষদ থেকে তাদের দুই সন্তানের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। পরিষদ থেকে হুইল চেয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। তারপরেও চেষ্টা করে দেখবো।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস হুইল চেয়ার দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।  

ইত্তেফাক/আরএজে