শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪২

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, কমলনগর, রামগতি ও রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

বক্তারা জানান, অবিলম্ভে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সাংবাদিকরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলালের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ মজিদ, রায়পুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম আর সুমন, রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ফারুক প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্বারকলিপি দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর রামগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত হয়। ২৯ নভেম্বর ‘ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা’ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রথম পৃষ্টায় খবর প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিক জাকির হোসেনকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিতে থাকে হত্যাকারীরা। এ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার বোন সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মাসুদকে পরদিন গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের ১৪দিন পর মাসুদ পুলিশ হেফাজতে স্ট্রোক করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। পরে ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামিদের প্ররোচনায় মাসুদের স্ত্রী আঁখি আক্তার বাদী হয়ে সাংবাদিক জাকির হোসেনকে প্রধান আসামি করে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ দীর্ঘ ছয় মাস তদন্ত করে উক্ত মামলার সকল আসামিকে বাদ দিয়ে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দেন। ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামিরা আবারো প্ররোচনা দিয়ে মামলার বাদীকে আদালতে নারাজী দিতে বলে। সে সুবাদে বাদী আদালতে নারাজী দিলে আদালত মামলাটি পিবিআই নোয়াখালী তদন্তের আদেশ দেন। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই নোয়াখালীতে তদন্তনাধীন আছে।

ইত্তেফাক/আরএজে