সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

খুলনায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫১

খুলনার দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

অভিযোগে বলা হয়, কলেজ পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের সময় খুলনা জেলা প্রশাসক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব প্রার্থী নির্বাচিত হলেও ইউএনও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে দেয়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে গেলে তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) বিষয়টি দেখার জন্য বলে দেন। কিন্তু তখন পুনরায় নির্বাচনের সময়সীমা না থাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। সে সময় নির্বাহী কর্মকর্তা শিক্ষকদের বেতন বিলে স্বাক্ষরের প্রতিশ্রুতি দেন। ফলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিল নিয়ে যেতে বলেন। পরে বিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাসের কাছে গেলে তিনি বিল ছুড়ে ফেলে দুর্ব্যবহার করেন। 

চালনা কলেজ অধ্যক্ষ অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলি। সেজন্য ক্ষোভে হয়তো বিলে স্বাক্ষর করেনি।
 
চালনা বাজার এলাকার মহানন্দ সরকারর বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে কাবিখা, টিআরের কয়েকটি প্রকল্পে ইউএনও বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কয়েক মাস আগে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ইউএনওকে এ বিষয়ে তলব করে। 

খুলনার দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মিন্টু বিশ্বাস। ছবি: ইত্তেফাক

কালিনগর গোবর্ধন চন্দ্র মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেরী কয়াল বলেন, মিথ্যা অভিযোগে দপ্তরে ডেকে অপমানজনক কথা বলে হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। এছাড়া বিধি মোতাবেক ইউএনও মাসিক বিল অনুমোদনে স্বাক্ষর করবেন। কিন্তু কর্মচারী বিল নিয়ে গেলে স্বাক্ষর না করে তা ছুড়ে ফেলে দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন।

লাউডোব এলাকার শামিনা খাতুন জপু বলেন, সঠিক তদন্ত না করে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, একাধিক অভিযোগের কোনো প্রতিকার না হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকায় ইউএনও মিন্টু বিশ্বাসের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিন্টু বিশ্বাসের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি। 

খুলনা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আব্দুর রশিদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ইউএনওকে ফোন দিয়েছিলাম। সে বলেছে কলেজ পরিচালনা কমিটিতেও থাকবে না। এখন নতুন কমিটি হলে তারা বিল ওঠাতে পারবে। আর বাকি অভিযোগের বিষয়ে জানা নেই।

ইত্তেফাক/পিও