বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে নিহত বেড়ে ১১

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:২৫

ফিলিস্তিনের নাবলুসে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। কমপক্ষে ১০২ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আনাদোলু এজেন্সি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ইসরায়েলি বাহিনী শহরে অভিযান শুরু করে। এর পরপরই তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। অভিযানের শুরুতে শহরের সব প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। মূলত পরিস্থিতি আবর্তিত হয় একজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধার বাড়ি অবরোধকে ঘিরে। 

ফিলিস্তিনের নাবলুসে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী লায়ন্স ডেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযান চলাকালীন ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, নাবলুস শহরে এখনো অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি তারা। 

এদিকে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১৩ শিশুসহ ৬১ জনে পৌঁছেছে। চলতি বছরের দুই মাসের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও অভিযানে অন্তত ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী লায়ন্স ডেন

অন্যদিকে, একই সময়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর পাল্টা হামলায় ১০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। পরিসংখ্যান দেখায়, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে সহিংসতা বেড়েছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে নেতানিয়াহু অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। 

সম্প্রতি সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নেতা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার প্রবণতা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এমতাবস্থায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি তৎপরতা ও দখলদারিত্ব বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।

একই সময়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর পাল্টা হামলায় ১০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

মাত্র ছয় দিনের যুদ্ধের পর ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে। বর্তমানে প্রায় চার লাখ ৭৫ হাজার ইহুদি সেখানে বসতি স্থাপন করেছেন। আন্তর্জাতিক আইনে স্থাপনাগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত হয়।

ইত্তেফাক/ডিএস