বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ঘরের মাঠে প্রোটিয়া নারীরা গড়লেন ইতিহাস

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৯

প্রায় শেষ দিকে এসে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের খেলা। আজ সন্ধ্যা ৭টার ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের আসরের। এর আগে গত শুক্রবার ঘরের মাঠে ইতিহাস গড়েছে প্রোটিয়া নারী দল। ঐদিন কেপ টাউনে অনুষ্ঠিত হওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ফাইনালে ওঠার টিকিট কাটে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুধু তাই নয়, কোনো আফ্রিকান দল হিসেবেও এটি প্রথম। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার পুরুষ দলও কখনো কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে পারেনি।

২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এ টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের শিরোপা জয়ী দল ইংল্যান্ড। এছাড়া ২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলে দলটি তবে প্রতিবার অস্ট্রেলিয়ার কাছেই ফাইনাল হারতে হয় তাদের। এবার তাদের থামতে হলো সেমিফাইনালেই। ম্যাচ শেষে মাঠেই কাঁদতে দেখা যায় দুই দলকে। ইংল্যান্ড দল কাঁদছিল বাদ পড়ে আর প্রোটিয়ারা কাঁদছিল ইতিহাস গড়ে। শুক্রবার পঞ্চম বারের মতো ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে নামে ইংল্যান্ড। এদিন কেপটাউনে প্রোটিয়া নারীরা আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশ মেয়েরা। তাতে ৬ রানের দারুণ জয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথম বারের মতো ফাইনালে নাম লেখায় দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।

এদিকে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব থেকে সফল দল তারা। এর আগে অনুষ্ঠিত হওয়া ৭ আসরের মধ্যে ৫ বারই অজিরা শিরোপা নিয়েছে নিজেদের ঘরে। এর আগে শুক্রবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৬ রান। ৪৪ বলে ৫৩ রান করা লরা উলভার্টকে ফেরান সোফি একেলেস্টোন। আরেক ওপেনার তাজমিন ব্রিটস থামেন ৬৮ রানে। তিন নম্বরে নেমে ১৩ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মারিজান ক্যাপ। আর তাতে ১৬৪ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয় ইংল্যান্ডেরও। ৫ ওভারেই রান আসে ৫৩। তবে হুট করেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন শবনিম ইসমাইল। এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশদের প্রথম ধাক্কাটা দেন ডানহাতি এ পেসার। ড্যানি ওয়াট ফেরেন ৩৪ রানে। এক প্রান্ত থেকে দারুণ ব্যাটিং করে ইংলিশদের এগিয়েই রাখছিলেন ন্যাট শিভার বার্নট। কিন্তু শেষ ধাক্কাটা দেন খাকা। এক ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ পুরোপুরি দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে নিয়ে আসেন। শেষমেশ ১৫৮ রানে থামে ইংলিশরা। ফাইনালে ওঠার উল্লাস নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ৫ রানে ভারতকে পরাজিত করে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।

ইত্তেফাক/এসএস