সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন প্রধান শিক্ষককে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। আব্দুর রাজ্জাক জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন তাকে মারধর করেন।
জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিল্লুর রহমান ও মনিরুজ্জান বলেন, জয়নাল আবেদীনের চাকরির শেষ দিন ছিল রোববার। এ কারণে তার জন্য বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। কিন্তু মানপত্র নিয়ে আসতে দেরি হয়েছিল। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কের একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে মারা হয়।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের চাচাতো ভাই শিহাব উদ্দিন বলেন, সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের বাড়ি জন্তিপুর গ্রামে জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই। সে বাড়ি থেকে তার ছেলে মোস্তফা (৩৮), মনিরুজ্জামান (৩৩) ও তার ভাতিজা মুশতাক্বীমকে (২৮) সঙ্গে নিয়ে আমার ভাইকে বেধড়ক পিটিয়েছে। লোহার রডের আঘাতে কপাল কেটে গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক বলেন, সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তারপর ২০১৮ সালের ২৩ জুন মাসে আব্দুর রাজ্জাককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত এ নিয়ে আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, আহত অবস্থায় শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তার স্বজনরা। কিন্তু কপালের জখম গুরুতর ছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বীর হোসেন খান দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, আহত শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে ঘটনার লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। এরপর তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, আহত শিক্ষক থানায় এসেছিলেন। উনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।