মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ভেঙে পড়ার ভয়ে থাকে না আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে 

আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩, ১৬:৪০

গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে মাথা গোজার ঠাঁই হলেও ভেঙে পড়ার ভয়ে থাকতে পারছে না গৃহহীন অনেক পরিবার। মুজিব বর্ষের দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকে না লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়ার হতদরিদ্র কয়েকটি পরিবার।

দু’বছর যেতে না যেতেই ঘরের দেয়ালে ও ঘরের মেঝের ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেকে উপায়ন্ত না পেয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলোতে বসবাস করছে।  প্রশাসনের তদারকির অভাবে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। এ ছাড়াও টিউবওয়েল দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অনেক পরিবার টিউবয়েল পায়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মুজিব বর্ষে হাতীবান্ধা উপজেলায় এক হাজার ১৬৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আর এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রতি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এতো টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরেও দু’বছর না যেতেই ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় ধসে যেতে পারে। অসহায় পরিবারগুলো ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে।

ভুক্তভোগী নূর মহাম্মদ বলেন, মুই ভূমিহীন গরীব মানুষ। সে জন্যে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দিছে। সেই ঘর এক বছর নাই যাইতে দেয়ালে ফাটল ধরছে। ভাঙি পড়ার ভয়ে ঘরত থাকির ভয় নাগে। সে জন্য ঘরত থাকংনা। মাইনসের জমিত কোনো মতে কষ্ট করি আচুং। সরকার যদি মোর ঘরটা একনা ঠিক করি দেয় তাইলে ঘরত থাকির পানুং হয়।

 ভেঙে পড়ার ভয়ে থাকতে পারছে না গৃহহীন অনেক পরিবার। ছবি: ইত্তেফাক

হাতীবান্ধা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি এ উপজেলায় আসার আগে মুজিব বষের্র ওই ঘরগুলো নির্মাণ হয়েছিল। খুব দ্রুত ঘরগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, আমি এ উপজেলায় আসার আগে ওই ঘরগুলো নির্মাণ হয়। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আজকেই পরিদর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেওয়া উপহার হিসেবে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলীয়ায় ২১টি ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দু’বছর যেতে না যেতেই কয়কটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। লিন্টন ছাড়া ঘর নির্মাণে ধসে পড়ার ভয়ে বসবাস বন্ধ করে দিয়েছেন ভুক্তভোগী অনেক পরিবার।

ইত্তেফাক/আরএজে