শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ স্থূলতায় ভুগবে

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩, ১২:০৭

পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হবে বলে সতর্ক করেছে ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১২ বছরে ৪০০ কোটি মানুষ স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের শিকার হবে। শিশুদের মধ্যে এই হার সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলেও এতে বলা হয়েছে। খবর বিবিসির।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশগুলো এ সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগবে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে স্থূলতার খরচ দাঁড়াবে বার্ষিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক লুইস বাউর এই প্রতিবেদনের ফলাফলগুলোকে মারাত্মক উল্লেখ করে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। 

পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হবে বলে সতর্ক করেছে ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন।

তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছু দেশের জন্য এটি একটি স্পষ্ট সতর্কতা। প্রতিবেদনটি বিশেষ করে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্থূলতার ক্রমবর্ধমান হারকে সামনে এনেছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতার প্রভাবও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলো প্রায়শই স্থূলতা ও এর পরিণতিগুলোর প্রতিক্রিয়া জানাতে সবচেয়ে কম সক্ষম। বিশ্বব্যাপী স্থূলত্বের সর্বাধিক প্রত্যাশিত বৃদ্ধিসহ ১০টি দেশের মধ্যে ৯টি আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। 

প্রতিবেদনটি বিশেষ করে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্থূলতার ক্রমবর্ধমান হারকে সামনে এনেছে।

স্থূলতার হার বৃদ্ধির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে: বেশি বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার পছন্দের প্রবণতা, বেশি মাত্রায় বসে থাকার অভ্যাস, খাদ্য সরবরাহ ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি, ওজন ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না থাকা। 

ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক লুইস বাউর বলেন, 'আমাদের প্রতিবেদনে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা ভয়াবহ। এসব ফলাফল বিবেচনায় নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বেশ কয়েকটি দেশ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।' 

বেশি বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার পছন্দের প্রবণতা।

অনুসন্ধানগুলোর ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, বিশ্বজুড়ে স্থূলতার হার বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে। যা বিশ্বব্যাপী মোট দেশীয় পণ্যের ৩ শতাংশের সমান। প্রতিবেদনে জোর দেওয়া হয়েছে, স্থূলতার অর্থনৈতিক প্রভাবের স্বীকৃতি কোনোভাবেই স্থূলতার সঙ্গে বসবাসকারী ব্যক্তিদের দোষের প্রতিফলন নয়। 

প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যগুলো সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হবে। স্থূলতা হলো একটি মেডিক্যাল শব্দ যা উচ্চমাত্রায় চর্বিযুক্ত ব্যক্তিকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ব্যবহার করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্কের ওজনকে তাদের উচ্চতার বর্গ দ্বারা ভাগ করে বিএমআই বের করা হয়।

ইত্তেফাক/ডিএস