বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মাতৃভাষা দিবসে ব্যাংককে কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩, ১৫:৪৯

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্যাংককের কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাংকক কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে রোববার (৩ মার্চ) একাডেমিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই বলেন, বাংলা ও থাই ভাষার শব্দ ভাণ্ডারের মূল উৎস সংস্কৃত ভাষা, লেখ্য রূপেরও মূল এক- ব্রাহ্মী লিপি। তাই বাংলা ও থাই ভাষার নিয়ে আরও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

তিনি এ ধরনের একাডেমিক সেমিনার নিয়মিতভাবে আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ভবিষ্যতেও কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন। 

ড. কোভিট পিম্পুয়াং তার আলোচনায় থাই ভাষায় সংস্কৃত শব্দের প্রভাব এবং বাংলা ও থাই ভাষার উৎপত্তিগত সাদৃশ্য বিষয়ে  আলোচনা করেন।

ড. সোমবাট বলেন, থাই বর্তমান চাক্রি রাজবংশের প্রথম রাজা রামখামহেংর হাত ধরে তৎকালীন থাইল্যান্ড (শুথদয় রাজ্যে) -এ বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন শুরু হয় এবং থাই রাজা রামা-৬ এর সময়কালে (প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে) থাইল্যান্ডে থাই ভাষায় সংস্কৃত ভাষার প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়। থাইল্যান্ডে সংস্কৃত ও পালি ভাষা পবিত্র ও ধর্মগ্রন্থের ভাষা হিসেবে বিবেচিত এবং রাজ কর্মকাণ্ডে এবং সাহিত্য চর্চায় সংস্কৃত ভাষার প্রভাব এখনো বিদ্যমান।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট, ঢাকার মহাপরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্যুনিকেশন ডিজওর্ডার বিভাগের অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ তার আলোচনায় বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ভাষার প্রভাব এবং বাংলা ভাষার ব্যুৎপত্তি, তৎসম, অর্ধ-তৎসম এবং তদ্ভব শব্দের প্রচলন, ব্যবহার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।  

কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল কলেজের শিক্ষক কিটসাদা সামুথসাকর্ন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের থাই ভাষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কৌইত পিম্পুয়াং, সিলাপাকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত স্টাডিজ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহকারী অধ্যাপক ড. সোমবাত মংমিসুখসিরি  এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট, ঢাকার মহাপরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্যুনিকেশন ডিজওর্ডার বিভাগের অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- দূতাবাসের কর্মকর্তারা, কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।

ইত্তেফাক/আরএজে