মাদারীপুরে ভুল চিকিৎসায় শারমিন (৩০) নামে ১ নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা হাসপাতালটিতে ভাঙচুর চালিয়েছেন। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পানিছত্র এলাকার কেআই ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শারমিন সদর উপজেলার ছিলারচর এলাকার আনোয়ার খালাসির স্ত্রী।
স্বজনদের অভিযোগ, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শহরের পপুলার হাসপাতালে সাইয়েদা সিদ্দিকা এলিজা নামের এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছেলে সন্তানের জন্ম নিহত দেন শারমিন বেগম। ৭ দিন পর স্বজনরা শারমিনকে বাড়িতে নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে শারমিনকে একই চিকিৎসকের পরামর্শে কেআই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে অভিযুক্ত চিকিৎসক দুপুর ১টার দিকে ব্যথা কমানোর জন্য রোগীকে কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশ করার পর পরই অজ্ঞান হয়ে পড়ে শারমিন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার সময় মৃত্যুর বিষয়টি ধরা পরে। এর প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতালটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার দাবিতে হাসপাতালের সামনের বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে একই হাসপাতালে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ভুল চিকিৎসায় শিবচরের খানকান্দি এলাকার সৈয়দ শামীমের স্ত্রী লাকি বেগমের মৃত্যুর অভিযোগে ভাঙচুর করেছিলো নিহতের স্বজনরা। পরে ৬ লাখ টাকায় মীমাংসার করা হয়।
নিহতের স্বামী আনোয়ার খালাসি বলেন, চিকিৎসক চাইলে আগেই জন্য অন্য হাসপাতালে প্রেরণ করতে পারতো। সেটা না করে নিজেই ভুল চিকিৎসা দিয়ে স্ত্রীকে মেরে ফেলছে। এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত ডা. সাইয়েদা সিদ্দিকা এলিজা বলেন, দায়িত্বে অবহেলা কিংবা ভুল চিকিৎসা নয়, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে শারমিনের। তার চিকিৎসায় কোনো ক্রুটি ছিল না। চিকিৎসা করে ঢাকা চলে আসার পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয় শারমিন নামের ওই রোগী মারা গেছে। কোনো রোগী মারা গেলে ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে এমন অভিযোগ দিবেই এটাই স্বাভাবিক। তবে, কোনো চিকিৎসক কখনোই চায় না রোগী মারা যাক।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, হাসপাতাল ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।