ভারতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করা হয়েছে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু হলে এক আলোচনার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে বাঙালির শ্রেষ্ঠতম কবিতা ও মুক্তির সনদ হিসেবে উল্লেখ করে বক্তব্যে হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটি ভাষণ কীভাবে পুরো জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, এই ভাষণটি তার অনন্য উদাহরণ।
ইউনেস্কো কর্তৃক ভাষণটির বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতির পিতার মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধেরই স্বীকৃতি। তিনি আরো বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থাকবে, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ততদিন বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষের কাছে প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
এসময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্যের মধ্যে মিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির দেওয়া বানী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবুল কালাম আজাদ ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (ইকোনমিক) মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন।
সবশেষে বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।