আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯০০ সাল থেকে প্রতিবছর ৮ মার্চ এই দিনটি পালিত হয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অধিকারের লড়াইকে সম্মান করা এই দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
নারীকে তার যথাযথ সম্মানের আসনে বসাতে হলে পুরুষদের যেমন নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসতে হবে। একই সাথে নারীদেরও তাদের মর্যাদার কথা মাথায় রেখে যথাযথ সম্মান দেখাতে হবে পুরুষের প্রতি। নারী পুরুষের সম্পর্ক হোক একেঅপরের প্রতি সমান সহমর্মিতার উপস্থাপন। নারী দিবসে নারী পুরুষের সম্পর্ককে সুন্দর ও সুদৃঢ় রাখতে এমনটিই বলেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক লায়লা ফিরদৌস হিমেল। এছাড়াও সম্পর্কের ভীত মজবুতে তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন:
- সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূল স্তম্ভ হচ্ছে সততা। প্রতিটি সম্পর্কের বিষয়ে সততা দেখাতে হবে। একজনকে অন্যজনের কাছাকাছি রাখবে তখনই যখন সে বলতে পারবে, ‘যাই হোক তুমি আমার সম্পর্কে সত্যটাই জানবে।’
- পুরুষ একজন নারীকে তার শান্ত এবং নমনীয় স্বভাবের জন্য বেশি পছন্দ করে। তেমনি পুরুষকেও পরিত্যাগ করতে হবে তার কঠোর আচরণ। নারী ও পুরুষের নমনীয় স্বভাবই দুজনার প্রতি সম্মান দেখানোর অন্যতম পথ।
- নারী-পুরুষের উভয়ের মাঝেই বিশ্বস্ততার চর্চা থাকাটা জরুরি। যে কোন সম্পর্কের বন্ধনকে মজবুত রাখতে দুজনকেই বিশ্বস্ত হতে হবে। অনেক সময় একটু অবিশ্বাসই একটি সম্পর্ক ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
- একদিনে কোনো সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। কোনো ভুল হলে প্রথমেই সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার চিন্তা না করে সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।