শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গান্ধীর অহিংস বাণী নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ৪ ভারতীয় নারী

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৩, ১৯:৫২

মহাত্মা গান্ধীর অহিংস ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতের কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে যশোরে এসেছেন ৪ নারী। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে ‘গান্ধী অ্যান্ড ওয়াক’ শিরোনামে এ পদযাত্রা শুরু করেন তারা। এদিন রাতে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যশোরে পৌঁছান। আগামী ১৬ মার্চ নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে গিয়ে শেষ হবে তাদের এ পদযাত্রা। 

পদযাত্রার অংশ নিয়েছেন ডা. আরজুমন্দ জায়েদি, সদস্য কাশিশ খানম, অনুষ্কা, পার্নোমিতা ডাঙ্গওয়াল। ভারতের এই দলের সঙ্গে নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের ২ জন প্রতিনিধিও রয়েছেন। 

জানা যায়, মহাত্মা গান্ধীর শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতীয় এ ৪ নারী শুরু করছেন তাদের পদযাত্রা। ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) সহযোগিতায় গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট আয়োজিত ‘গান্ধী অ্যান্ড ওয়াক’ শীর্ষক এ পদযাত্রা শুরু হয় কলকাতার বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে। ৪ সদস্যের দলটি বৃহস্পতিবার রাতে বেনাপোল হয়ে যশোরে পৌঁছান। শুক্রবার সকালে যশোর সার্কিট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে দলটি নড়াইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। লোহাগড়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন। ১৬ মার্চ নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে গিয়ে শেষ হবে তাদের এ যাত্রা। 
 
পদযাত্রার টিম লিডার ডা. আরজুমন্দ জায়েদি বলেন, মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাভাবনা গোটা বিশ্বকেই উজ্জীবিত করে। তার শান্তির বাণী আজ সারা বিশ্বেই সমাদৃত। আমাদের এ পদযাত্রা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। আগামী দিনে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই শান্তি যাত্রার পরিকল্পনা আছে।

নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের কর্মী খায়রুজ্জামান খোকন বলেন, মহাত্মা গান্ধী আমৃত্যু মানুষের মাধ্যে শান্তি ও অহিংসার বাণী প্রচার করে গেছেন। গান্ধীর অহিংস ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন। এ পদযাত্রা আগামী ১৬ মার্চ নোয়াখালী গান্ধী আশ্রমে শেষ হবে। এ যাত্রায় তারা মোট ৯ জেলা পায়ে হেটে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেবেন মানুষের কাছে।

ইত্তেফাক/এবি/এএএম