জার্মানির হামবুর্গে একটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সভায় হামলা চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করেছেন এক বন্দুকধারী। নিহতদের মধ্যে এক নারীর গর্ভের এক শিশুও রয়েছে। ঘটনার পর হামলাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে হামবুর্গে জেহোভাহ'স উইটনেস খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সভায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী নিজেও এই সম্প্রদায়ের সাবেক সদস্য।
জার্মানির জেহোভাহ'স উইটনেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামবুর্গের কিংডম হলে তাদের ধর্মীয় সভার পর ঘটা ভয়ানক হামলায় তারা গভীরভাবে শোকাহত। হামলায় নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুইজন নারী। নিহতদের বয়স ৩৩ থেকে ৬০-এর মধ্যে। তারা সবাই জার্মান নাগরিক।
এর বাইরে এক নারীর গর্ভস্থ শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আটজন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। হামলাকারী বন্দুকধারীকে 'ফিলিপ এফ' নামে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তিনি ৩৫ বছরের জার্মান নাগরিক। বাভারিয়ার মেমিনগেনের এই ব্যক্তি মিউনিখে পড়াশোনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে তিনি হামবুর্গে নিবন্ধিত ছিলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর হামলাকারী নিজেকেও হত্যা করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্ডি গ্রোটে।
হামবুর্গ পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর একটি অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং বৈধভাবেই সেমি-অটোমেটিক পিস্তলটি রাখতেন তিনি। ফিলিপ এফ এই হামলা কেন চালিয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে অজ্ঞাত সূত্রে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই হামলাকে 'নিষ্ঠুর সহিংসতা' হিসেবে অভিহিত করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার।