শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

কচুয়ার সাচার বাজার ব্যবসায়ীদের দখলে সড়ক লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩, ২০:৫৭

কচুয়া-গৌরীপুর ভায়া সাচার সড়কের সাচার বাজারে সরকারি রাস্তার বেশির ভাগ অংশ দখল করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দোকানঘর স্থাপন করায় দীর্ঘদিন ধরে যানজটের সৃষ্টি হয়ে আসছে। প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে রাস্তার অপর অংশে অবৈধ বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড। 

একটি গাড়ি যাওয়ার পর আরেকটি গাড়ি চলাচল করতে পারে না। অসহনীয় যানজটের কবলে পড়ে যাত্রীসাধারণকে দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে পথচারী,যাত্রী, যানবাহন, ক্রেতা-বিক্রেতারা পড়ছেন দারুণ বিপাকে। এ বাজার অংশে যানজট সৃষ্টি নিত্যদিনের ঘটনায় রূপ নিয়েছে। অনেক সময় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরও এখানকার যানজটের কবলে পড়তে হয়। 

পুলিশ চেষ্টা করেও সহজভাবে এ যানজট নিসরন করতে পারছে না। সরকার দলীয় স্থানীয় একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা প্রতিদিন এই সকল অবৈধ দোকান ও বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি করে আসছে। অর্থাৎ যে সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে তখনই তাদের দখলে চলে এই চাঁদাবাজি। অবৈধ দোকানপাট ও বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কারণে যাতায়াতকারী লাখ লাখ লোক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। 

এই বিষয়গুলো পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে উল্লেখ করে অবৈধ দোকানপাট ও বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে একাধিক চিঠি দেওয়া হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। বরং চাঁদাবাজরা প্রতিদিনই অবৈধ দোকানপাট বসাচ্ছে রাস্তার ওপর। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এক শ্রেণির কর্মকর্তার চরিত্র এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা কেবল টাকার পেছনে দৌড়ায় । এ কারণে গ্রাম পর্যায়ে চাঁদাবাজিও প্রকাশ্যে চলছে।

দোকানপাট বসাচ্ছে রাস্তার ওপর। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এক শ্রেণির কর্মকর্তার চরিত্র এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা কেবল টাকার পেছনে দৌড়ায়। এ কারণে গ্রাম পর্যায়ে চাঁদাবাজিও প্রকাশ্যে চলছে।

যানবাহন চলাচলের দিক থেকে এ সড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এ সড়ক ধরে প্রতিদিন হাজীগঞ্জ ও কচয়ার জনসাধারণ বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঢাকা যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন কারণে বড় রকমের যানজট সৃষ্টি হলে বিকল্প পথ হিসেবে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাটখিলের বাস কচুয়া-গৌরীপুর সড়ক যাতায়াত করে থাকে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাচার বাজার অংশে যানজট সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের দুই পাশে সারি সারি ফল ও কাপড়ের দোকান স্থাপন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েও দোকানপাট সরিয়ে নেয়নি অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবিষয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা করে পরবর্তী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।

কচুয়া থানার ওসি মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, জনস্বার্থে সাচার বাজারের যানজট নিরসন হওয়া প্রয়োজন । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যখনই অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে চাইবেন, পুলিশ এ অভিযান চালাতে প্রস্তুত রয়েছে।

ইত্তেফাক/এএইচপি