শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১
The Daily Ittefaq

‘নিরাপদ ক্যাম্পাস’ দাবিতে রাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু 

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ২১:৪৮

এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘নিরাপদ ক্যাম্পাসের’ দাবিতে ৮ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছেন। রোববার (১২ মার্চ) বিকালে ক্যাম্পাসের প্যারিস রোড সংলগ্ন উপাচার্য ভবনের সামনে এই অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ওই শিক্ষার্থীরা।

আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের ৭ জন হলেন দর্শন বিভাগের রাবেয়া মুহিব ও শাহাদাৎ হোসেন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের রিমি আক্তার ও রাবেয়া জান্নাত, মনোবিজ্ঞান বিভাগের জান্নাত হাওলাদার এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের রিক্তাজুল হাসান ও সোহাইব খান। তবে একজন নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। 

৭ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেন ওই শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ‘আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে উঠব না। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

৭ দাবি হলো: 
১. শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনার জন্য প্রক্টরের পদত্যাগ ও প্রশাসনকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ২. বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ও নির্দিষ্ট পাসকার্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ৩. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে। ৪. হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. বিশ্ববিদ্যালয়ে রিকশাভাড়া ও খাবার বিল নির্ধারণ করে দিতে হবে। ৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বহিরাগতদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করতে হবে। ৭. শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করতে হবে ও রাজনৈতিক কোনো দখলদারিত্ব থাকবে না নিশ্চিত করতে হবে ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলওয়ে স্টেশন আবার চালু করতে হবে।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনেও কোনো সমাধান না পেয়ে ফের রেললাইন আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে রাজশাহী রেলস্টেশনের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া বাকি সব জেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

রোববার (১২ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের পাশের রেললাইনের দুপাশে আগুন জ্বালিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৯ জন আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। এর মধ্যে ৮৬ জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অন্য তিন জনের মধ্যে দু’জন পুলিশ সদস্য এবং একজন পথচারী। আর ৮৯ জনের মধ্যে ৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ৪৪ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন ক্যাম্পাসে।

ইত্তেফাক/পিও