রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১২ মার্চ) রাতে নগরীর মতিহার থানা পুলিশের এসআই আমানত উল্লাহ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার বিভূতিভূষণ ব্যানার্জি বলেন, এই মামলায় সবাই অজ্ঞাত আসামি। পুলিশ বক্স ও মোটরসাইকেলে আগুন এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এছাড়া এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তারিকুল হাসান এবং সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান।
সংঘর্ষের ঘটনার তৃতীয় দিন সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মহাসড়ক দিয়ে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রোববার রাত পৌণে ১টার দিকে লাইন মেরামতের পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পুলিশ, র্যাব, সিআরটি, ডিবি পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রাবি ও তার আশেপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সর্বত্র নিরব-শান্ত পরিবেশ দেখা গেছে।
শনিবার (১১ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েক দফায় ৯৬ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।