নাটোরে ৩৫ বছরের এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুরুদাসপুর পৌর সদরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত হেলাল সরদার পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার সাখাওয়াত সরদারের ছেলে এবং গুরুদাসপুর পৌর বিএনপির সাবেক নেতা নাজিম উদ্দিন সরদারের ভাতিজা।
আহত শিশির সরদার (২৮) নিহত হেলালের ছোট ভাই।
আটক তোহা জামাদার (২২) চাঁচকৈড় বাজার পাড়া মহল্লার জিল্লুর জামাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি দরপত্র দাখিল করাকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রাজনৈতিকভাবে দ্বন্দ্বে জড়ান ছাত্রলীগ নেতা আবু তাহের ও হেলাল সরদার। এর জের ধরে ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ২টার দিকে গুরুদাসপুর ফায়ার সার্ভিসের সামনে আবু তাহের (২৬) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করেন নিহত হেলাল, আহত শিশির, সম্রাট ও মঞ্জু নামের কয়েকজন।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সঞ্চিতা সরকার জানান, বেলা ১১টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হেলাল ও শিশিরকে হাসপাতালে আনা হয়। হেলালের কাঁধে ও গলার চার স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালের আনার পর পরই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত শিশিরের ডান পিঠে অস্ত্রের প্রায় ৬ সেন্টিমিটার গভীর ক্ষত রয়েছে। তাছাড়া ডান হাটু বরাবর তিনটি বড় এবং একটি ছোট আঘাত রয়েছে। শিশিরকে রাজশাহী মেডিক্যাল পাঠানো হয়েছে।
নিহত হেলালের স্বজনদের অভিযোগ, আগের শক্রতার জের ধরেই হেলাল ও শিশিরকে কোপানো হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।