ঢাকার কেরানীগঞ্জে ৯৮ ভরি সোনা লুটের অভিযোগে কনস্টেবলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৫ মার্চ) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই অলক কুমার দে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযোগপত্রের ১১ আসামি হলেন লালবাগ থানার পুলিশ কনস্টেবল কামরুজ্জামান, তার স্ত্রী নাহিদা নাহার, শফিকুল ইসলাম, উত্তম চন্দ্র মজুমদার, শরীফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, উত্তম পাল, জাকির হোসেন, রহমান সরদার, আনন্দ পাল ও দুলাল চন্দ্র পাল।
এ মামলায় আনন্দ পাল, নজরুল ও উত্তম পলাতক রয়েছে। জামিনে রয়েছে নাহিদা, উত্তম মজুমদার, জাকির ও আনন্দ পাল। বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জামটি এলাকার সোলাইমান জুয়েলার্সের কর্মচারী বরুণ ঘোষ (৪৮) ৯৮ ভরি ওজনের ৮টি সোনার বার নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার যান। কিন্তু তাঁতীবাজারে দোকান বন্ধ থাকায় তিনি সোনা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। কেরানীগঞ্জের সাজেদা হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে কিছুলোক পুলিশ পরিচয়ে অবৈধ মালামাল রয়েছে অভিযোগে বরুণকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। গাড়িতে তুলেই চোখ-মুখ বেঁধে মারধর করে একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা সোনার বার, চালানের কাগজপত্র ও ৩ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।
এ ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৫১ ভরি সোনা, নগদ ১৫ লাখ টাকা ও ১টি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
এসআই অলক কুমার দে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল কামরুজ্জামান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়। অবশ্য পরে তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, জোর পূর্বক পুলিশ তার কাছ থেকে জবানবন্দি নিয়েছে।