শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইউটিউব চ্যানেলের সঠিক মনেটাইজেশন নিশ্চিত করুন

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩, ২২:৩০

ইউটিউবে আপনার একটি চ্যানেল রয়েছে। ওই চ্যানেলটি ব্যবহার করে কিছু আয়ও করতে চান। সেজন্য মনেটাইজেশন চালু করতে হবে। কাজটি সহজ নয়। তবে আমাদের পরামর্শ শুনলে কিছুটা উপকার পেতে পারেন। অবশ্যই প্রথমে আপনাকে মনেটাইজেশন চালু করতে হবে। তারপর কি করবেন? চলুন দেখে নেই। 

ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিন

মনেটাইজেশন পেতে হলে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিতে হবে। এজন্য আপনার চ্যানেলে অন্তত ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও গত ১২ মাসে ৪০০০ ওয়াচ আওয়ার থাকা বাঞ্ছনীয়। মনেটাইজেশনের অনুমতি পেলে আপনি একগাদা ডেসক্রিপশন ও ট্যাগ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। ফলে সার্চ ফলাফলে আপনার চ্যানেল নিয়ে যাওয়া কঠিন কিছু হবে না। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালান

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যালগরিদম এখন প্রচার-প্রচারণার উপযুক্ত। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টিকটকে আপনার ভিডিও শেয়ার করুন। ভালোভাবে অপ্টিমাইজ করে নিন সবকিছু। এভাবে আপনি আরও ভিউয়ার বাড়াতে পারবেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যবহার

ইউটিউব থেকে আয়ের একটি বড় অংশ হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনার ভিডিও যদি পণ্য নিয়ে হয় তাহলে কোনো অনলাইন শপের লিংক সেখানে ব্যবহার করুন। আপনার চ্যানেল থেকে কেউ যদি লিংকে গিয়ে পণ্য কেনে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন। 

স্পন্সর খুঁজে নিন

স্পন্সরশীপ ইউটিউবারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের মাধ্যম। কারো পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন বা প্রচারণার মাধ্যমে আপনি ভিডিওর খরচ আদায় করে নিতে পারেন। এভাবে স্পন্সরের মার্কেট অডিয়েন্সের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার একটা সুযোগও আপনার থাকে। 

সুপার চ্যাট ও সুপার স্টিকারের কথা ভুলে যাবেন না

ইউটিউবে সুপার চ্যাট ও সুপার স্টিকার মনেটাইজেশনের জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ভিউয়ারদের কোনো কমেন্ট হাইলাইট করা সম্ভব। লাইভ চ্যাটে এই সুযোগ থাকে। আর সুপার স্টিকার ভিউয়াররা কিনতে পারে। লাইভ স্ট্রিমে এই সুপার স্টিকার প্রেরণ করে তারা কিছুটা আলাদা হিসেবেই নিজেদের প্রকাশ করেন। এটাও কিন্তু আয়ের একটি ভালো মাধ্যম। 

বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দিন

ইউটিউবার হিসেবে আপনি যে নিয়মিত বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দিচ্ছেন তা নিশ্চিত করুন। এভাবে দর্শকদের কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে। 

লাইভ স্ট্রিম কেন নয়!

লাইভ স্ট্রিমে গুরুত্ব দিন। লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে ভিউয়ারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার না করার কোনো মানে নেই। 

সফটওয়ার ও ইকুইপমেন্টে বিনিয়োগ করুন

ইউটিউবে মানুষ ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতায় জোর দেন। তাই ভিডিওর কোয়ালিটি এবং সেটাপ যেন ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। সেজন্য এডিটিং সফটওয়ার ও ভিডিও ইকুইপমেন্টে বিনিয়োগ করতে হবে। পুরনো স্টাইল থেকে নতুন স্টাইলে গেলে ভিউয়াররা বুঝতে পারে আপনি পরিশ্রম করছেন। 

ইত্তেফাক/এআই

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন