সৌন্দর্য কিংবা ঘ্রাণের জন্যই ফুল যেন প্রেমের কিংবা ভালোবাসা আদান-প্রদানের মাধ্যম। ফুল নিয়ে সৌন্দর্যবিলাসে অন্তত মানা নেই। কিন্তু রসনাবিলাসের ক্ষেত্রে ফুলের কথা কেউ কোনোদিন ভাববে? যদি ভেবে থাকেন ভাববে না তাহলে ভুল। ফুল থেকেই ফল হয়। তবে পুষ্প বা ফুল বলতে যা বোঝায় তাও সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। আমাদের দেশে গ্রামীণ অঞ্চলে অনেকেই খাদ্যপযোগী ফুল রান্না করেন। এ নিয়ে ঐতিহ্যবাহী অনেক রান্নাও আছে। কোন ফুলগুলো গরমের রসনাবিলাসকে বৈচিত্র্যময় করে জানা আছে কি? না জানলে এখনই জেনে নিন।
শাপলা
সবার প্রথমেই শাপলার নামটি দিতে হয়। শাপলার ফুলেল অংশ বেসনে ডুবিয়ে পাকোড়া বানানো যায়। আবার শাপলার ডাটা সেদ্ধ করে শুটকি কিংবা মাছ দিয়ে রান্না করে দারুণ লাগে। শাপলার ফলও কিন্তু খাওয়া যায়। এককালে গ্রামে শাপলার ঢ্যাপ দিয়ে খই ও নাড়ু বানানো হতো।
জলপদ্ম
জলপদ্মের ডাটা খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয়। সচরাচর শিং-মাগুরের সঙ্গে এর ডাটা রান্না করা যায়। আবার বাড়তি আমিষ না দিয়েও রান্না করতে পারবেন।
কলার মোচা বা ফুল
কলাগাছের থোড়, মোচা যাই বলুন না কেন এটি তো একটি ফুল। কলার ফুল বাছতে কষ্ট বলে অনেকে এটি খাওয়ার চিন্তা করেন না। তবে সময় পেলে বিশেষ আয়োজন উপলক্ষে ভাজাভুজি করা যায়। আবার ধৈর্য থাকলে অনেকে ভেজে ডালের বড়ার মতো করতে পারেন। ওই বড়া তরকারিতে দিলে দারুণ লাগে। তরকারির স্বাদ বাড়াতে এই পরিশ্রমটা করাই যায়।
কুমড়োর ফুল
বাজারে কুমড়োর ফুলটা আজকাল জনপ্রিয়। হুমায়ূন আহমেদ সেই যে কুমড়ো ফুলের বড়ার গল্প শোনালেন তারপর এর জনপ্রিয়তা রাতারাতিই বাড়তে শুরু করে। ভাজাপোড়া পছন্দ বাঙালির। সেজন্য এই ফুল রমজানে একটি উপাদেয় ইফতার আইটেম হতেই পারে। আবার চাইলে তরকারিও রান্না করা যায় কুমড়োর ফুল দিয়ে।