এই তো কাতার বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে মাস তিনেক হতে চলল। সেখানে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ট্রফি জিতল ল্যাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। সেই ফাইনাল নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে ফুটবল ভক্তদের মধ্যে। এগুলোর মধ্যেই ফিফা শুরু করে দিয়েছে আসন্ন (২০২৬) বিশ্বকাপ নিয়ে তোড়জোড়। সেই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে বাছাইপর্বের সূচি ঘোষণা করেছে বিভিন্ন মহাদেশীয় ফেডারেশনগুলো।
বাছাই পর্বের সূচি অনুসারে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব। সেখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তবে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মহারণটি অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে। কারণ এ মাসে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ২০২১ বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল এ দুই দল। ঠিক দুই বছর পর আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তারা। যেখানে প্রথমে আর্জেন্টিনাকে আতিথ্য দেবে ব্রাজিল। ফিরতি লেগে এই দুই দল আবার মুখোমুখি হবে প্রায় দেড় বছর পর। কেননা নভেম্বরের পর বিরতি দিয়ে আবার ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে ও নভেম্বরে চলবে বাছাইপর্ব। এরপর ২০২৫ সালের মার্চ, জুন ও সেপ্টেম্বরে হবে বাকি রাউন্ডগুলো।
এদিকে এই বাছাইপর্বে ব্রাজিল তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে বলিভিয়ার বিপক্ষে। সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় রাউন্ডে পেরুর বিপক্ষে খেলবে তারা। অক্টোবরে তাদের প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ে। এছাড়া নভেম্বরে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হওয়ার আগে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে সেলেসাওরা।
অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ম্যাচ বলিভিয়ার বিপক্ষে। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে ও পেরু। এছাড়া ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নভেম্বরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা মাঠে নামবে লাতিনের আরেক শক্তিশালী দেশ উরুগুয়ের বিপক্ষে।
কিছুদিন আগেই ফিফা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছিল যে, আগামী আসরে বাড়ছে দল সংখ্যা। গত সাত আসরে ৩২ দল নিয়ে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হলেও আগামী আসরে খেলবে ৪৮ দল। এর মধ্যে এবার দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে ছয়টি দল সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। এছাড়া পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বর দলটিকে খেলতে হবে প্লে অফ। যেখানে আগে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সরাসরি চারটি দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে। পঞ্চম দলটিকে প্লে অফ খেলে উঠে আসতে হয়েছে।