বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গুচ্ছ নয় স্বতন্ত্র ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফিরছে ইবি 

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৩

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ না করে স্বতন্ত্র ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফেরার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। 

রবিবার (১৯ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১২৫ তম জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান এসকল তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভায় একাডেমিক কাউন্সিলের আড়াইশো জন সদস্যের মধ্যে ১৬০ জনের অধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সদস্যদের সবাই গুচ্ছের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। গুচ্ছে থাকার পক্ষে কেউ কোনো মতামত প্রদান করেননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষকরা গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা, সমন্বয়হীনতা ও উচ্চশিক্ষার বৈষম্য ইত্যাদি কারণ তুলে ধরে এর বিপক্ষে মত দেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে পহেলা জুলাই থেকে ক্লাস শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি। উপাচার্য মহোদয় আগামীকাল (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মিটিংয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবেন। 

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত দুই বছর যেভাবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে সেটা খুবই দুঃখজনক। বর্তমান একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বুঝতে পেরেছে যে এটি অত্যন্ত কঠিন প্রক্রিয়া। তাই ঐক্য মতের ভিত্তিতে ইবি নিজস্ব বিধি মোতাবেক ভর্তি পরীক্ষা নিবে। উপাচার্য সিন্ডিকেটে রিপোর্ট সাপেক্ষে এ বিষয়ে অনুমোদন দিবেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এ সংক্রান্ত একটি মিটিং রয়েছে। উপাচার্য মহোদয় সেখানে অংশগ্রহণ করবেন। মিটিংয়ের আগে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। 

ইত্তেফাক/এআই