সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

টেক্সটাইল শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩, ২০:১৫

বরিশালে দুই শ্রমিককে মারধর ও চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা।

পরবর্তীতে পুলিশ বিচারের পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে আন্দোলন থেকে সরে আসে শ্রমিকরা।

স্থানীয়রা জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে শ্রমিকরা বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকার সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয় এবং বিক্ষোভ শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুইপাশে সৃষ্টি হয় যানজটের। আর এতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ভুক্তভোগী ও বিক্ষুব্ধরা জানান, সোমবার ফ্লোরে দুই শ্রমিকের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরপর ফ্যাক্টরির জেনারেল ম্যানেজার তাদের ডেকে নেয়। তবে জিএম কারও কথা না শুনে ঐ শ্রমিকদের মারধর করে এবং তাদের বসিয়ে রাখে দীর্ঘক্ষণ। পরে তাদের হাজিরা কার্ড জব্দ করে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে চাকুরিচ্যুত করে বাহিরে বের করে দেয়। বিষয়টি শ্রমিকরা জানতে পেরে রাতেই ফ্যাক্টরির ভেতরে বিক্ষোভ করে। তবে জিএম সাহেব কোনো সমাধান না দিয়ে চলে যায়। মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় শ্রমিকরা এক হয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা অন্যায়ভাবে দুই শ্রমিককে চাকরি থেকে ছাঁটাই ও মারধর করার প্রতিবাদ জানায়। এবং ওই ঘটনায় সঠিক বিচার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক। তবে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ স্বীকার করলেও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটির জিএম শামীম সরকার। অপরদিকে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে প্রায় ১ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের পর পুলিশের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসে পোশাক শ্রমিকরা। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, এই ঘটনায় বিচারের পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিনশো শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিকদের বেতন কম প্রদানসহ নানা অভিযোগে প্রায়ই আন্দোলন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

ইত্তেফাক/পিও