বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় প্রায় দেড় কোটি টাকা বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বিকালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভার। এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় রাতের বেলা আলো জ্বলেনি পৌর ভবনে। সড়কবাতি বন্ধ থাকায় অন্ধকার নেমে এসেছে শহরজুড়ে। বন্ধ হয়ে গেছে পানি সরবরাহ।
নেসকোর রাজশাহী বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শাখাওয়াত হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল জলিল, বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভায় ৯ ওয়ার্ডে প্রায় ১ লাখ লোক বসবাস করছেন। এছাড়া শহরটি আলোকিত করার জন্য দেড় হাজার সড়ক বাতি ও পানি সরবরাহের জন্য পাম্প রয়েছে। আকস্মিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিভিন্ন কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। জনগণ বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়াও রাতে শহর জুড়ে নেমে আসে অন্ধকার। চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পৌরবাসীরা।
নেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, শেরপুর পৌরসভায় প্রতি মাসে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। বিগত এক বছরে পৌরসভা কোনো বিল দেয়নি। এছাড়া পূর্বের বিল বকেয়া রয়েছে। সবমিলিয়ে এই পর্যন্ত পৌরসভার কাছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৬১ টাকা বকেয়া রয়েছে। বারবার নোটিশ দিয়েও কোনো সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পৌরবাসী বলছেন, কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করে। নিয়মিত পরিশোধ করলেও ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে শহরে চলাচল অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা বলেন, ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতায় এসেছি। বকেয়া বিল পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। অতি দ্রুত বিদ্যুৎ পুনরায় সংযোগ দেওয়া হবে।