ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাস্কর শামীম শিকদার। বুধবার (২২ মার্চ) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান ঢাবি পরিবার, আওয়ামী লীগ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন্সহ বিভিন্ন সংগঠন ও শিল্পাঙ্গণের যুক্ত বন্ধু-স্বজন-শুভাকাঙ্খীগণ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শামীম শিকদারের অমর সৃষ্টিকে সংরক্ষণের আশ্বাস দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে মোহাম্মদপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে শামীম শিকদারের বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তারা দুজনই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। শামীম সিকদার গত শতকের আশির দশকে চারুকলায় শিক্ষকতা শুরু করেন। অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেওয়ার পর ৮ বছর আগে তিনি লন্ডনে চলে যান।
১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’ ভাস্কর্যটি তৈরি করেন শামীম শিকদার। জগন্নাথ হলের সামনে ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাস্কর্যটিও তাঁরই করা। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০০ সালে একুশে পদক পান তিনি।