মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চৈত্রের ভোরে কুয়াশা দেখল রাজশাহী

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩, ২১:৩৬

বাংলা পঞ্জিকার পাতায় ৮ চৈত্র। অর্থাৎ চলছে খরতাপের মৌসুম। কিন্তু চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে যেন হঠাৎ খেয়ালি হয়ে উঠছে রাজশাহীর প্রকৃতি। এ সময় কুয়াশা না দেখা গেলেও ব্যতিক্রমী সেই দৃশ্য দেখা গেছে রাজশাহীতে। 

বুধবার (২২ মার্চ) ভোরে রাজশাহী জেলা ঢেকে গিয়েছিল ঘন কুয়াশার চাদরে। ভোরে সূর্যোদয়ের পর পরই ঘন কুয়াশায় আবারও ঢেকে যায় সবুজ প্রকৃতি। সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখতে পায়নি রাজশাহীবাসী। কয়েক দিন তাপমাত্রা বাড়ার পর বৃষ্টি ঝরেছে দু’দিন আগে। এরপরই হঠাৎ প্রকৃতির এমন আকস্মিক পরিবর্তন দেখে তাই সবাই অবাক! সচারাচর এমনটি হওয়ার কথা নয়।

এদিকে তীব্র তাপদাহের পর ভোরের এমন স্নিগ্ধ কুয়াশায় মন ভুলেছে অনেকের। পবিত্র রমজানের আগে এমন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় অনেকেই তৃপ্তি ও প্রশান্তি নিয়ে প্রাতঃভ্রমণ সেরেছেন। মন খুলে হেঁটেছেন। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া সকলের মন জুড়িয়ে দিচ্ছে গরমে অস্বস্তিতে থাকা রাজশাহীবাসীকে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, চৈত্র মাসে এমন সময় কুয়াশায় পড়ার ঘটনা বিরল। এ বছর অনেকটা আগেভাগেই বিদায় নিয়েছে শীত। ফাল্গুনের আগেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির ওপরে উঠে গেছে। গ্রীষ্মের শুরুতে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে জেলায় গত ১৬ মার্চ ০ দশমিক ৩ মিলিমিটার এবং ১৯ মার্চ ১৮ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
 
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বলেন, বুধবার ভোরে সূর্যোদয় হলেও পরে কুয়াশা পড়ে। তবে আবার সূর্যের মুখ দেখা যায়। বুধবার রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৮ মিনিটে। ভোর ৬ টায় রাজশাহীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, এমন কুয়াশা রাজশাহীর আমের মুকুল ও গুটির জন্য ক্ষতিকর। ঘন কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমের মুকুলে ‘পাউডারি মিলডিউ’ নামে এক ধরনের রোগ দেখা দেয়। এতে আমের মুকুল ঝরে পড়ে। যার প্রভাব পড়ে আমের ফলনেও। যদিও এখন রাজশাহীর অধিকাংশ গাছে আমের গুটি চলে এসেছে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও