মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চৈত্রের বৃষ্টিতে আম চাষিরা স্বস্তিতে

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩, ১৪:৫৭

গত রবি ও সোমবার বৃষ্টি হওয়ার পর আমচাষিরা স্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। এ বৃষ্টি আমের সব প্রতিকূল অবস্থার অবসান ঘটিয়ে অতিরিক্ত ফলনের সুযোগ করে দিয়েছে। শিবগঞ্জের আম রপ্তানিকারক ইসমাইল হোসেন শামীম খান এ মন্তব্য করেছেন। শুধু শামীম খানই নয় শিবগঞ্জের অধ্যাপক আজমল হক, রুবেল হক, জেম আলিসহ জেলার প্রায় ১০-১৫ জন আম ব্যবসায়ী ও আমচাষির সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে এ বছর জেলার সব আমবাগানে শতভাগ মুকুল এসেছিল। যা বর্তমানে গুটিতে পরিণত হয়েছে। গত রবি ও সোমবারের বৃষ্টিতে আমগাছের সমস্ত ময়লা মাটি পরিষ্কার হয়েছে। সেচের কাজ হয়েছে। এমনকি পোকামাকড়ও অনেকটা দমন হয়েছে। আমবাগানে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এসেছে।

তারা বলেন, এ বছর মুকুলের ৭০ ভাগ আমের গুটি এসেছে। বর্তমানের মতো যদি অনুকূল অবস্থা থাকে তবে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আমল মানিক বলেন, এ বৃষ্টিপাতের  ফলে আমের পোকামাকড় অনেকটা দমন হয়েছে। সেচের জন্য আর কোনো চিন্তা করতে হবে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক পলাশ সরকার জানান, বর্তমানে জেলায় আমবাগানে পরিমাণ হলো ৩৭ হাজার  ৫৮৮ হেক্টর । তার মধ্যে চাঁপাই সদরে ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর, শিবগঞ্জে ২০ হাজার ২৬০ হেক্টর, গোমস্তাপুরে ৪ হাজার ২০৩ হেক্টর,  নাচোলে ৪ হাজার ২৭১ হেক্টর ও ভোলাহাটে ৩ হাজার ৬৬২ জমিতে আমের বাগানে রয়েছে। গত সোমবার জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২০ দশমিক ৪০ মিলিমিটার। তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ৪০ মিলিমিটার, শিবগঞ্জে ৩০ মিলিমিটার, নাচোলে ৪৫ মিলিমিটার, গোমস্তাপুরে ১০ মিলিমিটার ও ভোলাহাটে  ২২ মিলিমিটার। বৃষ্টি  আমের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। এ বৃষ্টির ফলে গাছের পাতা পরিষ্কার হয়েছে। মরা মুকুলগুলো ঝরে পড়েছে। এ সময় প্রতি সপ্তাহে সেচ দিতে হতো। এখন আর সেচ দিতে হবে না। তাছাড়া সালেক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বেশি হবে। যা  আমের জন্য ভালো। তাছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির স্তর নিচে নেমেছিল, বৃষ্টির পর তা স্বাভাবিক হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আম ব্যবসায়ী ও আমচাষিদের খরচ অনেকটা কমেছে। 

তিনি আরো বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রত্যেক উপজেলা কৃষি অফিসকে আম ব্যবসায়ী ও আমচাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমার জানামতে প্রতিটি উপজেলা অফিস তদারক করছে। তিনি বলেন, এ বছরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গতবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন। তিনি আশা প্রকাশ করেন লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণ হবে। আবহাওয়া অত্যন্ত অনুকূল রয়েছে।

ইত্তেফাক/এআই