শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রেকর্ডে রেকর্ডে টাইগারদের আইরিশ বধ

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩, ১৫:৩৮

তামিম-সাকিবরা যেন এক স্বপ্নের মত সিরিজ কাটালেন। স্বপ্নের মতো বলার কারণ একটাই। এ সিরিজের তিন ম্যাচে রেকর্ডের বন্য বইয়ে দিয়েছেন টাইগাররা। যেমন তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত বিভিন্ন অর্জন, তেমনি করেছে দলীয় রেকর্ডও। বলতে গেলে সফরকারীদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশে এসে থামায় ওয়ানডেতে টানা ৭ সিরিজ জয়ের দৌড়। তবে তাতে যেন আরো চটেই বসেছে বাংলাদেশ দল। আর তার খেসারত দিতে হলো আয়ারল্যান্ড দলকে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড পরিমাণে রান (৩৩৮) করে বাংলাদেশ দল। সেই ম্যাচ ১৮৩ রানে জিতে সবচেয়ে বেশি রানে জয়ের কীর্তি গড়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে দলীয় রানের রেকর্ডে প্রথম ম্যাচের রানকেও ছাপিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। করে ৩৪৯ রান কিন্তু টাইগারদের ইনিংস শেষ হলে আর খেলা মাঠে গড়ায়নি বৃষ্টিতে ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত।

এদিকে প্রথম দুই ম্যাচে রেকর্ড গড়ার দৌড় বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ জিতেছে ১০ উইকেটে। এর আগে ৯ উইকেটে জয়ের রেকর্ড রয়েছে ৫ বার। একবার করে কেনিয়া-জিম্বাবুয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও সর্বোচ্চ দুবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। 

শুধু যে প্রথম বারের মতো ১০ উইকেটে জয় তুড়ে নিয়েছে তাই নয়। এদিন টাইগাররা বোলিংয়ে গড়েছেন আরেক কীর্তিও। এ ম্যাচে আইরিশ উইকেটে তাণ্ডব চালান দলের পেসাররা। শুধু তাণ্ডব চালিয়েছে বললে ভুল হবে সফরকারীদের পুরো ইনিংসই ধসিয়েই দিয়েছেন দলের তিন পেসার। আইরিশদের ১০ উইকেটের সবকয়টিই নিয়েছেন তারা। ওয়ানডেতে যা বাংলাদেশের জন্য প্রথম। তার মধ্যে দলের তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট এছাড়া তাসকিন নিয়েছেন ৩টি এবং এবাদত নিয়েছেন ২টি উইকেট। এতে করে ২৮.১ ওভারে ১০১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।

এছাড়া পেসারদের এমন দাপটময়ী দিনে বলে হাতই দেননি দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যা কিনা তার ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তৃতীয় বারের এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ দল ফিল্ডিং করতে নামলেও বোলিং করতে পারেননি সাকিব। এর আগের দুটি ঘটনার মধ্যে একটি হচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৭ সালে। সেদিন বাংলাদেশের ১৩৮ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১.১ ওভারে তাড়া করে ফেলেন লঙ্কানরা। পাঁচ বোলার ব্যবহার করা হলেও সাকিবের হাতে বল দেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। এরপরের ঘটনা ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। বৃষ্টির কারণে ওই ম্যাচে ফল আসেনি। ১৮২ রানে অল আউট হওয়ার বাংলাদেশ বোলিং করে ১৬ ওভার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আয়ারল্যান্ড: ১০১/১০ (২৮.১ ওভার)

বাংলাদেশ: ১০২/০ (১৩.১ ওভার)

ফল: বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ-সেরা: হাসান মাহমুদ।

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী।

সিরিজ-সেরা: মুশফিকুর রহিম (১৪৪ রান)। 

 

সিরিজে ঘটা রেকর্ডসমূহ

দলীয় রেকর্ড

             ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

             ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যবধানে ম্যাচ জয়।

             প্রথম বারের মতো কোনো ফরম্যাটে ১০ উইকেটে জয়।

             ওয়ানডেতে ১ ইনিংসে পেসারদের ১০ উইকেট শিকার।

ব্যক্তিগত অর্জন

 
            সাকিব আল হাসানের ৭ হাজার রান।

            মুশফিকুর রহিমের ৭ হাজার রান।

            বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি (মুশফিকুর রহিম)।

            ওয়ানডেতে দ্রুততম ২ হাজার রান স্পর্শ (লিটন কুমার দাস)।

            ৮ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফার (হাসান মাহমুদ)।

ইত্তেফাক/জেডএইচ