সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

তিউনিসিয়ার উপকূলে শরণার্থী নৌকাডুবি, নিহত ১৯

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৩:১৭

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে আগত অন্তত ১৯ শরণার্থী ও অভিবাসী নিহত হয়েছেন। রোববার (২৬ মার্চ) ভোরে এসব মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইতালির বার্তা সংস্থা আনসারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে দুই হাজারেরও বেশি শরণার্থী পৌঁছেছে। তারা একে 'রেকর্ড' শরণার্থী আগমন হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা। 

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে আগত অন্তত ১৯ শরণার্থী ও অভিবাসী নিহত হয়েছেন।

ফোরাম ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রাইটস (এফটিডিইএস) এর কর্মকর্তা রোমধনে বেন আমোরের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, শরণার্থী ও অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা স্ফ্যাক্স সৈকত থেকে যাত্রা করার পর তিউনিসিয়ার মাহদিয়া উপকূলে ডুবে গেলে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। 

তবে তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষীরা নৌকা থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে উপলব্ধ ছিল না। গত চার দিনে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর স্ফ্যাক্সে শরণার্থী ও অভিবাসী বহনকারী অন্তত পাঁচটি নৌকা ডুবে গেছে। 

শরণার্থী ও অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা স্ফ্যাক্স সৈকত থেকে যাত্রা করার পর তিউনিসিয়ার মাহদিয়া উপকূলে ডুবে গেলে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। 

এতে ৬৭ জন নিখোঁজ এবং ৯ জন মারা গেছেন। উপকূলরক্ষীরা এর আগে জানিয়েছিল, তারা গত চার দিনে ইতালিগামী প্রায় ৮০টি নৌকা থামিয়েছে এবং তিন হাজারেরও বেশি লোককে আটক করেছে। তাদের বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোর। 

উল্লেখযোগ্যভাবে, স্ফ্যাক্সের নিকটবর্তী উপকূলটি ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা লোকদের জন্য একটি প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এই বছর ইতালিতে পৌঁছানো কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ তিউনিসিয়া থেকে যাত্রা করেছিল। ২০২২ সালের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩০০।

ইত্তেফাক/ডিএস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন