ঢাকার তেজগাঁওয়ের স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি মুন্না ও অভির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মুন্সীগঞ্জ আদালত।
মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে গ্রেপ্তার অপর আসামি মেঘ আনোয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক জামাল হোসেন জানান, মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে আসামি মেঘ আনোয়ার হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
তিনি জানান, স্থপতি ইমতিয়াজের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় ৯ মার্চ হত্যা মামলা দায়ের হয়। ২২ মার্চ মামলাটি জেলা ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হলে তারা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহযোগিতায় রোববার (২৬ মার্চ) সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুন্না, মেঘ আনোয়ার ও অভিকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি গ্যারেজ থেকে হত্যার সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
সোমবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার গোলাম সবুর জানান, হত্যায় জড়িত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরাফাত ও আলিফ নামের আরও দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
স্থপতি ইমতিয়াজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার পরিবারে স্ত্রী, ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। গত ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। ৮ মার্চ তার স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওই দিন সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের মরিচা সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে স্থপতি ইমতিয়াজের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর দিন আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করা হয়। ৯ মার্চ বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়।
১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে গত ২১ মার্চ ওই লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করেন ইমতিয়াজের স্বজনরা।