ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যে খেলায় সর্বক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে হয়। তাছাড়া ভালোও খেলতে হয়। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সময়ে টাইগারদের সেরা পেস বোলার তাসকিন আহমেদ এমন মন্তব্য করেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার পেছনে বোলারদের ভূমিকা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘বৃষ্টির আইনে বেঁধে দেওয়া প্রতিপক্ষ দলের স্কোর থামাতে বিশেষ করে পেসার হাসান মাহমুদকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। তার উপর্যুপরি উইকেট দখলের কারণে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিয়েছে। তার চমৎকার পারফর্মের জন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। দলে যারা আমরা আছি, সকলেই আমরা একই পরিবারের সন্তানের মতো। সকলেরই আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য আমাদের ম্যাচ জেতা সম্ভব হয়েছে। বলা যায়, উইকেটও ভালো ছিল। হোম উইকেট যত ভালো হবে, ততই আমরা ভালো খেলব। পরবর্তী সিরিজগুলোও ভালো হবে। গত দুই সিরিজের ধারাবাহিকতা ইনশাআল্লাহ আগামী সিরিজগুলোতেও পথ দেখাবে।’
তাসকিন আরো বলেন, ‘আমাদের ভুলত্রুটিগুলো আমরা শুধরিয়ে নিচ্ছি। ভবিষ্যতে তা কাজে আসবে। আগের তুলনায় আমরা অনেক অগ্রগামী। তার প্রমাণ মিলেছে ইংল্যান্ড সিরিজের মধ্যে। তাদের টি-টোয়েন্টিতে আমরা হোয়াইট ওয়াশ করেছি। চলতি সিরিজেও সে পথে আমরা এগুচ্ছি। আমার প্রত্যাশা, দলের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে অবশ্যই আমরা সাফল্য লাভ করব। তবে দলে যারা নবীন, তারা এই মুহূর্তে ভালো পারফর্ম করে যাচ্ছে। আমার প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে স্রোতের বিপরীতে যেন তারা না চলে। ক্রিকেটে মনোযোগ রাখলে এবং কমিটমেন্ট থাকলে নবীনরা নামিদামি ক্রিকেটারে পরিণত হবে।’
এর আগে এদিন ব্যাট করে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস এবং রনি তালুকদার। তাদের দুই জনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রান তোলেন টাইগাররা। শুধু তাই নয়, ৬ ওভারেই চলে আসে ১২ বাউন্ডারি। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩ সালে মিরপুরে ৭৬ রান, এবার সেটি টপকে যায় ৮১ রান করে। পরে লিটন ২৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন সাজঘরে। সেখানে লিটনের সঙ্গে একটি আলাপচারিতা সম্পর্কে জানান তাসকিন।
সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বললেন, ‘(লিটন-রনির ব্যাটিং) খুবই ভালো লাগছিল। গতকালের ১০০ রান (আসলে ১০২ রান) দেখেছি দক্ষিণ আফ্রিকার খেলায়। আমরা ভাবছিলাম ও রকম কিছু হতে যাচ্ছে নাকি। পরে লিটন আউট হয়ে আসার পর আমি বললাম, ‘কিরে তুই কি কালকের ম্যাচ দেখে ও রকম পিটাচ্ছিলি (হাসি)?’ (লিটন) বলে, হ্যাঁ! ওরা পারলে আমরাও পারব। তো এটা খুব ইতিবাচক বিষয় এবং আমরাও খুব উপভোগ করছিলাম। মাশআল্লাহ্! এ রকম ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে থাকলে অনেক ভালো কিছু হবে।’