যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিল শহরের কোভনেন্ট স্কুলে ঢুকে নির্বিচার গুলিতে তিন শিশুসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারী অড্রে নিহত হয়। হামলাকারী ‘মানসিক ব্যাধি’র কারণে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বলে জানায় ন্যাশভিলের পুলিশ প্রধান।
পুলিশ প্রধান জন ড্রেক জানান, ছোটখাটো একটি অস্ত্রের সংগ্রহশালাও ছিল তার। বৈধভাবে তিনি সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিলেন এবং সেগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন বাড়িতেই।
স্কুলে বন্দুক হামলার সময় অড্রের কাছে দুটি আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও একটি হ্যান্ডগান ছিল। সাত অস্ত্রের মধ্যে হামলায় তিনটি ব্যবহার করেন অড্রে।
তদন্তকারীরা বলছেন, অড্রের বাবা-মাও জানান তাদের কাছে মনে হয়েছিল অড্রের হাতে অস্ত্র থাকা ঠিক না। কিন্তু অনেকগুলো অস্ত্র যে বাড়িতেই লুকানো আছে তা তারা উপলব্ধি করতে পারেননি।
বিবিসি জানায়, অড্রের বাবা-মা ভেবেছিলেন, তার কাছে কেবল একটি বন্দুক ছিল এবং সেটি বিক্রি করে ফেলা হয়েছে। তার হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুলিশ এখনও সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। হামলার সময় কোনও শিক্ষার্থীকে সুনির্দিষ্টভাবে খোঁজ করেননি অড্রে। তিনি নির্বিচারে গুলি চালান।
ড্রেক এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা হামলাকারী অড্রেকে নারী হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছেন। তবে কর্মজীবীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিংকডইন অ্যাকাউন্টে পুরুষ হিসেবে পরিচয় দেওয়া আছে অড্রের।
হামলার কয়েক মুহূর্ত আগে অড্রে তার এক সাবেক সহপাঠীকে বার্তাও পাঠিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সোমবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে আভেরিয়ানা প্যাটন ইন্সটাগ্রামে ওই বার্তা পান। সেই বার্তা পড়ে মনে প্যাটনের মনে হয়েছিল, অড্রে খুবই বিষন্ন এবং কিছু একটা করতে মরিয়া।
বিবিসি-কে প্যাটন বলেন, “সে (অড্রে) বলেছিল, আমি তাকে পরে খবরে দেখতে পাব... মর্মান্তিক কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।”