মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে ডিজিটাল বাংলাদেশ

আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, ২১:১৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের উন্নয়ন ধারা সব রকমের বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সুপারসনিক গতিতে এগিয়ে চলছে।করোনাকালে বিরুদ্ধবাদিরা প্রচার করেছিল যে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০ লক্ষাধিক লোক মারা যাবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এর পক্ষে সাফাই গেয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো করনায় বাংলাদেশে মোট ২৮,১০০ জন লোক মারা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা এবং গতিশীল নেতৃত্বে দেশ করোনা মহামারি দক্ষতার সাথে মোকাবেলায় সমর্থ হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রেরিত একটি বার্তায় বাংলাদেশকে এশিয়ার মধ্যে একটি নেতৃত্বশীল দেশ হয়ে ওঠায় প্রশংসা করা হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে পররাষ্ট্র নীতিতে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কৌশল, পাশাপাশি  এশিয়ার দু'টি বৃহৎ রাজনৈতিক পরাশক্তি চীন এবং ভারতকে আস্থায় রেখে নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির কৌশল বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। এমনকি খোদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনও এ ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প

বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক রাজনীতিতে  ধর্মের অপব্যবহার- যা মূলত বিএনপি-জামাত জোটের রাজনীতির মূল উপজীব্য। শেখ হাসিনা সরকার ধর্মভিত্তিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করার ফলে তাদের অপকৌশল অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজব্রত পালন করেছেন মোট ১০,৮১,৭৬৬ জন। তাছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ১,১১,৮৮৫টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এবং দুস্থদের মধ্যে  ১৯৮,২৪,১৬,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ করে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালে ১৭ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা যাকাত অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এমনকি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সাংস্কৃতিক উন্নয়নে দেশের অধিকাংশ জেলায় শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ, সংস্কার করা হয়েছে। ’সাউথ এশিয়ান ট্যুরিজম ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় নওগাঁর পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার এলাকা, বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকা, দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির এবং বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন ও সংরক্ষণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।

বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক পুরস্কার ”চ্যাম্পিয়ন্স অফ দা আর্থ” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বৃক্ষরোপণে গুরুত্ব আরোপের ফলে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বেড়েছে- যা ২০০৮ সালের ৯.৫ শতাংশের স্থলে ২০১৭ সালে ১৩.২৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।দেশের ২০১৭টি ইটিপি স্থাপনযোগ্য শিল্পকারখানার মধ্যে ১৬১৯ টি শিল্প-প্রতিষ্ঠানে ইটিপি স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে, যা বেপরোয়া পরিবেশ দূষণ রোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।শিল্পবর্জ্য হতে পরিবেশ দূষণের দায়ে ৩৯৮৪ শিল্প প্রতিষ্ঠান হতে ২৬৩.০২ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ১২ হাজার ৮ শত ৭২টি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।

দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩০ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভিজিডি খাতে পুষ্টি চাল বিতরণ; হাওর এলাকায় ১০০ দিন কর্মসূচিতে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরণ ও ওএমএস কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে শ্রীলংকায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানি হয়েছে। ২০১৬ সালে নেপালে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল সাহায্য হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। ২০১৬ সাল হতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫০ লক্ষ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে প্রতি বছর ৫ মাস (সেপ্টেম্বর,অক্টোবর নভেম্বর, মার্চ ও এপ্রিল) চাল ১০ টাকা কেজিতে বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলমান রয়েছে।করোনাকালে সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষদের ১০ টাকা কেজি দরে ৯০ হাজার মেট্রিকটন চাল দেওয়া হয়েছে।

পদ্মা সেতু

ডিজিটাল বাংলাদেশ উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ১১ মে ২০১৮ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস স্টেশন হতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনার জন্য গাজীপুরে ‘সজীব ওয়াজেদ ল্যান্ডিং স্টেশন’ স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রায় শতভাগ নাগরিক মোবাইল ফোন ব্যবহারের আওতায় এসেছে। দেশে মোবাইল সংযোগের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি।নারীর ক্ষমতায়নে টেলিটক কর্তৃক ২০ লক্ষ মহিলার নিকট অপরাজিতা সিম বিতরণ করা হয়েছে। ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, কেমিক্যাল মেজারমেন্ট, খনিজ সম্পদ বিষয়ে গবেষণা ইত্যাদির জন্য ৪টি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নে মোবাইল সেবার বিকল্প নাই। এই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা ব্যাপক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের ৪.৬ কোটি হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১ পর্যন্ত প্রায় ১৮ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের মাত্র ৪০ লক্ষ হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১ পর্যন্ত প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭.৫ জিবিপিএস, বর্তমানে দেশে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার ৬৭৩ জিবিপিএস ছাড়িয়েছে।  সারাদেশে প্রায় ২১,৫০০ কি.মি. অপটিক্যাল ফাইবার অবকাঠামো রয়েছে। পূর্বে যা ছিল মাত্র ১৯০০ কি.মি.। বর্তমানে ২৩,৩৩১টি মাধ্যমিক, ১৫,০০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকসহ দেশব্যাপী প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ১কোটি মানুষ ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে দেশে ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই দেশের মাঠে-ঘাটে খাম্বা বসিয়ে রাখা হয়। অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরকার বিদ্যুত খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। এর ফলে ২০ ডিসেম্বর ২০২১ নাগাদ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,২৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে; যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০,০০০ মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট  উৎপাদন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ি ও মহেষখালীতে কয়লাভিত্তিক সর্বমোট ৯,৯৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পুরাতন ও অদক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাওয়ারিং এর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৬টি। তাছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ৭৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ৬০ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। ২০৪১ সালোর মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রুপান্তরের ভিশন বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মহাপরিকল্পনা (পিএসএমপি-২০১৬) প্রণয়ন করা হয়েছে। সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ৮,০০০ সার্কিট কিলোমিটার থেকে ১২,৯৯৬ সার্কিট কিলোমিটার উন্নীতসহ গ্রিড সাবস্টেশন ক্ষমতা ১৫,৮৭০ এমভিএ থেকে ৫৪,০০৪ এমভিএতে উন্নীত করে দেশের বিদ্যুৎসেবাকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের রোড ম্যাপে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ড. আব্দুল ওয়াদুদ

রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে এবং উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের জন্য ঢাকায় সাম্প্রতিক মেট্রোরেল উদ্বোধন দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি পরিবর্তন এনে দিয়েছে। বিশেষ করে এই মেট্রোরেলটি সার্বিক নিরাপত্তা এবং উন্নত কারিগরি মানসম্পন্ন। অচিরেই এই মেট্রোরেলের সার্বিক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে ঢাকা শহরের প্রান্তিক জনসাধারণের যানজটের সুরাহা করবে। 

তাছাড়া কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে উন্নত সেবা প্রদানের উপযোগী করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা মেট্রো রেলের সাফল্য চট্টগ্রামে অনুরূপ একটি মেট্রোরেলের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৭০.৬৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরে ‘ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রোরেল ট্রানজিট কন্সট্রাকশন অব চট্টগ্রাম’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা রেল সেতু চালুর সব ব্যবস্থাই সম্পন্ন হয়েছে। এটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। তাছাড়া এই অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা বাড়বে।

শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তিনি দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন; গৃহহীনদের বিনামূল্যে ঘর প্রদান করে বাস্ত সংস্থানের অধিকার সুরক্ষার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপট রচনা করেছেন। পদ্মা সেতুকে বিতর্কিত করার জন্য বিএনপি-জামাত জোট এবং ডক্টর ইউনুসের নেক্সাস বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উইপোকার মত নিঃশেষ করার প্রত্যয়ে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশি-বিদেশি শক্তির কাছে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নবিরোধী অপরাজনীতিকে পরাস্ত করতে দেশবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের রাজনীতিকে একটি বৈপ্লবিক ধারায় প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি নেতৃত্বশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসুন উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের সেই অভিযাত্রায় সবাই সক্রিয়ভাবে শামিল হই।

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক: ড. আব্দুল ওয়াদুদ
ফিকামলি তত্ত্বের জনক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, 
প্রেসিডিয়াম সদস্য– বঙ্গবন্ধু পরিষদ, প্রধান পৃষ্ঠপোষক- বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতি

ইত্তেফাক/এএইচপি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন