বাবা সাইফ আলি খান আর মা অমৃতা সিং। দাদি শর্মিলা ঠাকুর ও দাদা পতৌদির শেষ নবাব মনসুর আলি খান। নবাবি পরিবারের সন্তান হলেও কখনও নিজেকে নবাব বাড়ির মেয়ে ভাবেননি বলে জানিয়েছেন সারা আলি খান।
ভারতের ‘দ্য হিন্দু’ সংবাদপত্রকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সারা বলেন, ‘লোকে যখন এটা (নবাবপুত্রী) ভাবে তখন আমার খুব হাসি পায়। আমি কখনও নবাবিপনায় বড় হইনি।’
ব্রিটিশ শাসনের সময় সারা আলি খানের দাদার বাবা ছিলেন সেই সময়ের স্বাধীন রাজ্য পতৌদির শাসক। শরীরে রাজরক্ত বইলেও সারা নিজেকে একজন ‘মুম্বাই গার্ল’ই ভাবতে ভালোবাসেন।
তার কথায়, তিনি ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে বেশিরভাগ জীবনটাই জুহুতে কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে বাবার সঙ্গে দেখা করতে বান্দ্রায় যেতেন। এছাড়া ছুটি কাটাতে হলে নায়িকা জম্মু কাশ্মীর, কেদারনাথ আর হিমাচল প্রদেশ যেতে পছন্দ করতেন। নবাবি কায়দায় দিন কাটানো মানে কী, তাই আমি জানি না।’
প্রসঙ্গত ২০০৪ সালে সাইফ আলি খান আর অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই দুজনের আলাদা থাকা। মেয়ে সারা আলি খান ও সারার ভাই ইব্রাহিম আলি খান, দুজনেই বড় হয়েছেন মা অমৃতা সিংয়ের কাছে। ইব্রাহিম আলি খানকেও এই বছরের শেষে দেখা যেতে পারে বলিউডের কোনও ছবিতে।