শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

জার্মানিতে আরও বড় ধর্মঘটের আশঙ্কা

আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫:২৪

জার্মানির পাবলিক সার্ভিস কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক সংগঠনগুলো কর্মদাতাদের সঙ্গে রফায় আসতে পারেনি। তৃতীয় দফার আলোচনাও ব্যর্থ হওয়ায় দেশজুড়ে বড় আকারের ধর্মঘটের আশঙ্কা বাড়ছে। 

বেতন বৃদ্ধির জন্য চাপ বাড়াতে শ্রমিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে 'সতর্কতামূলক' ধর্মঘট ডেকে বার বার জার্মানির জনজীবন স্তব্ধ করে দিচ্ছে। গত সোমবার (২৭ মার্চ) দেশজুড়ে পরিবহণ ধর্মঘট সেই সংগ্রামের সবচেয়ে জোরালো দৃষ্টান্ত ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মদাতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ভোররাত পর্যন্ত আলোচনার শেষেও দুই পক্ষ সেই কাজে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তৃতীয় দফার আলোচনাই চূড়ান্ত নয়, এবার নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীদের শামিল করে সমাধান সূত্রে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। 

ছয়টি কাজের দিনের মধ্যে মূল প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তার দশ দিনের মধ্যে ফলাফল পেশ করতে হবে। সেই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের আশঙ্কা দেখা দেবে। তবে আসন্ন ইস্টারের ছুটি গোটা উদ্যোগে কিছুটা বিলম্ব ঘটাবে বলে আপাতত সেই আশঙ্কা আরও কিছুটা দূরে সরে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ভোররাত পর্যন্ত আলোচনার শেষেও

বার্লিনের উপকণ্ঠে পটসডাম শহরে সরকার, পৌর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলো আলোচনা চালিয়েছে। সাফল্য না পেলেও আপাতত আরও ধর্মঘট এড়ানোর চেষ্টা চলছে। আগে থেকে বাছাই করা নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সমাধান সূত্রের প্রস্তাব দিতে চলেছেন। 

এই সময়কালে কোনো ধর্মঘট যাতে না ডাকা হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে চান তারা। উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাস থেকে শ্রমিক সংগঠন 'ভ্যার্ডি' ও সরকারি কর্মীদের সংগঠন 'ডিবিবি' ফেডারেল ও স্থানীয় সরকারগুলোর সঙ্গে দশ শতাংশেরও বেশি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আলোচনা চালিয়ে আসছে। 

বার্লিনের উপকণ্ঠে পটসডাম শহরে সরকার, পৌর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলো আলোচনা চালিয়েছে।

প্রায় ২৫ লাখ কর্মীর হয়ে দরকষাকষি করছে এই দুই সংগঠন। সরকার এখনো পর্যন্ত আট শতাংশের বেশি বেতন বাড়াতে রাজি হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার ভোরে ভ্যার্ডির প্রধান ফ্রাংক ভ্যার্নেকে জানান, সামাজিকভাবে ন্যায্য ন্যূনতম বেতন আদায় করার চেষ্টা আপাতত ব্যর্থ হয়েছে। 

তিনি এজন্য কর্মদাতাদের দায়ী করেন। সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের প্রধান উলরিশ সিলবারবাখ বলেন, মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যেভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, তার অন্তত কিছুটা ক্ষতিপূরণ করতে এমন বেতন বৃদ্ধির দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করা যায়নি।

সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের প্রধান উলরিশ সিলবারবাখ

ফেডারেল সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি জটিলতা কাটাতে মধ্যস্থতার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

ইত্তেফাক/ডিএস