তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী শারমিন আক্তার মনি (২৮)কে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ভাসুর খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৯ মার্চ) উপজেলার সরসপুর ইউপির বাতাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানায় মামলা দায়েরের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ঘাতক ভাসুরকে গ্রেপ্তার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, বুধবার সকালে শারমিন আক্তার নিজ বসত ঘরের রশিতে কাপড় শুকাতে দিতে গেলে ভাসুর খোরশেদ আলমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে শারমিন আক্তার তার নিজের ঘরে ফিরে যায়। কিছুক্ষণ পর জনৈক মাছ বিক্রেতা ওই বাড়িতে মাছ বিক্রি করতে আসলে সে ওখানে মাছ কিনতে যায়। এ সময় তার ভাসুর খোরশেদ আলম পিছন থেকে এসে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শারমিনকে জখম করে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। নিহত শারমিন আক্তার মনি (২৮) ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসি মাসুদ আলম এর স্ত্রী। অভিযুক্ত খোরশেদ আলম প্রবাসী মাসুদ আলমের বড় ভাই ও নিহত শারমিন আক্তারের ভাসুর। মাকে হারিয়ে নিহতের ৭ বছর বয়সী শিশু কন্যা মীম আক্তার, ৪ বছর বয়সী শিশু সামির ও ৪ মাসের শিশু কন্যাসহ ৩ সন্তানের কান্না যেন থামছে না।
মনোহরগঞ্জ থানা ওসি সফিউল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের এক ঘন্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তারের কথা জানান তিনি।