সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

সিজারের সময় নবজাতকের পেট কাটার অভিযোগ, তোলপাড়

আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০৫

নীলফামারীর সৈয়দপুরে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসক দম্পতি বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই নবজাতক মারা গেলে বিষয়টি চাউর হয়ে পড়ে। 

ঘটনার শিকার প্রসূতি মোছা. চাঁদনী সৈয়দপুরের পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডি গ্রামের মাস্টারপাড়ার রওশন সরকার রাজুর স্ত্রী। 

নবজাতকের মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে প্রসূতির পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা ওই ক্লিনিকে জড়ো হলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান ও থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ওই ক্লিনিকে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রসূতির শরীরে অস্ত্রোপচার করেন ডা. নুরনাহার নার্গিস ও তার স্বামী ডা. মিজানুর রহমান। এসময় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রসূতির অস্ত্রোপচার কালে নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ তোলা হয়। পরে অসুস্থ নবজাতককে রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
 
নবজাতকের বাবা রওশন সরকার রাজু বলেন, ‘রাত ৮টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান এই শিশুকে বাঁচানো সম্ভব নয়। তাই নবজাতককে নিয়ে রাতেই সূর্যের হাসি ক্লিনিকে ফেরত আসি। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নবজাতকের কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা প্রদান করেননি।’
 
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ‘এটি গ্যাস্ট্রসচিসিস নামক এক ধরনের রোগ। এ ধরনের রোগ নিয়ে শিশুটি জন্ম হতে পারে। 

সৈয়দপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল রায়হান বলেন, ‘কি কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে তা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন। তাই সিভিল সার্জনের নির্দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

 

 

ইত্তেফাক/এসজেড