শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে এবার অনলাইন বুকস্টোর বন্ধের পথে অ্যামাজন!

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৩৪

কোম্পানির খরচ কমানোর অংশ হিসাবে প্রায় দু-দশক পর নিজেদের গ্লোবাল অনলাইন বুকস্টোর ‘Book Depository’ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল অ্যামাজন। বুধবার সংস্থাটির তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে কোম্পানির অধীনস্থ এই সংস্থাটি তাদের কাজ বন্ধ করতে চলেছে। তবে গ্রাহকরা ওই দিনের দুপুর পর্যন্ত অর্ডার দিতে পারবেন। বুক ডিপোজিটরির ওয়েবসাইটে একটি বার্তায় জানানো হয়েছে, সংস্থাটি জুন মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত গ্রাহকদের থেকে প্রদত্ত অর্ডারগুলির বিষয়ে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সক্রিয় থাকবে।

বুক ডিপোজিটর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৪ সালে চালু হয়। সংস্থাটি তৈরি করেছিলেন অ্যামাজনেরই প্রাক্তন কর্মচারী স্টুয়ার্ট ফেলটন এবং অ্যান্ড্রু ক্রাউফোর্ড । ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল সংস্থাটিকে অধিগ্রহণ করে অ্যামাজন। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, সংস্থাটি ১২০টিরও বেশি দেশে ২০ মিলিয়নেরও বেশি বই বিক্রি করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে কোন নূন্যতম খরচ ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডেলিভারি পরিষেবা প্রদান করত সংস্থাটি।

এই প্রসঙ্গে সংস্থাটির বিক্রয় ব্যবস্থাপনার বিভাগীয় প্রধান, অ্যান্ডি চার্ট বলেছেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমরা ধীরে ধীরে ব্যবসাটি বন্ধের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করব। তার মধ্যে আমাদের ওয়েবসাইট বন্ধের মতো পদক্ষেপগুলি রয়েছে।’ তিনি তার সমস্ত বইপ্রেমী গ্রাহককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারণ তার মতে, গ্রাহকরাই এই সংস্থাটিকে সারা বিশ্বের পাঠকদের কাছে মুদ্রিত বই আরও সহজলভ্য করে তুলতে সক্ষম করে তুলেছেন।

অ্যামাজন খরচ কমাতে তার কর্মীদের কাঁটছাঁটের একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এবার তারই প্রভাব পড়তে চলেছে তাদের এই বিখ্যাত বুকসেলার কোম্পানির উপর। প্রসঙ্গত, এই বছরের জানুয়ারি মাসে অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি একটি ব্লগে ঘোষণা করেন, শেষ কয়েক বছরে বিপুল নিয়োগ এবং অনিশ্চিত অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী ১৮০০০ এরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে। 

তারপর মার্চ মাসে কোম্পানিটির তরফে পুনরায় জানানো হয় যে সংস্থাটি আরও ৯০০০ পদ বাতিল করতে চলেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বই বিক্রয় সংস্থা বুক ডিপোজিটরি থেকে ঠিক কতজন কর্মচারী ছাঁটাই হতে চলেছেন সেই বিয়য়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। এই প্রসঙ্গে সংস্থাটির পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

ইত্তেফাক/এএইচপি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন