'সেরা রাঁধুনি ১৪২৯' এর অডিশনে ঢাকা থেকে সরাসরি সুযোগ পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেরাদের সেরার সেরার খেতাব নিজের করে নেন। বলছিলাম আইরিশ আতিয়ারের কথা। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিওর লিটারেচার বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করা এই তরুণী চাকরি ছেড়ে রাঁধুনি হয়ে সফল হয়েছেন।
ছোটবেলায় মায়ের স্ট্রোকের কারণে আস্তে আস্তে সখ্যতা গড়ে উঠে রান্না ঘরের সঙ্গে। বিভিন্ন সময় টুকটাক করে নিজের পছন্দের খাবার গুলো নিজেই রান্না করার চেষ্টা করতেন। ভুল হলে আবার চেষ্টা করতেন। ভুল থেকে শিখতে শিখতেই একসময় রান্না পরিণত হয় তার শখে এবং সেই শখকে আগলে ধরে শেখেন কার্লিনারি। এভাবেই একটা সময় শখ থেকে পেশায় পরিণত হয় রন্ধনশিল্প।
আইরিশ এখন পর্যন্ত ৪ থেকে ৫টি রান্না বিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর আগে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে শেফ হিসেবে এবং শেফদের প্রধান হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
রান্নাকে পেশা হিসেবে নেওয়াটা আইরিশ আতিয়ারের জন্য সহজ ছিল না। নানা প্রতিবন্ধকতা ছিল। পরে পরিবারের উৎসাহ পেলেও প্রথমদিকে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে ।
যেহেতু বাংলাদেশে মেয়েদের শেফ হওয়ার সুযোগ কম, এমনকি মেয়েদের বিভিন্ন জায়গায় কাজের জন্য যাওয়াটাও এখনো সমাজ ভালো চোখে দেখে না, সেহেতু পুরো যাত্রাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন আতিয়ার।
স্বাভাবিকভাবেই 'সেরা রাঁধুনি ১৪২৯' এর প্রতিযোগিতার বেলায়ও পড়তে হয়েছে প্রতিকূলতায়। সব থেকে বড় সমস্যার বিষয় ছিল তার তৎকালীন চাকরি। কেননা তিনি ছিলেন শেফদের প্রধান। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে হোটেলে সময় দেওয়া সম্ভব হবে না সুতরাং ছাড়তে হবে চাকরি। অনেক বড় এক সিদ্ধান্তের সামনে ছিলেন তিনি। অনিশ্চিত ভবিষ্যতে সফল হওয়ার স্বপ্নে সিদ্ধান্ত নেন চাকরি ছেড়ে দেওয়ার। পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন প্রতিযোগিতায়। আর আমাদের প্রচলিত একটি কথা ইচ্ছা শক্তি আর চেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব। সেটাই করে দেখিয়েছেন আতিয়ার। হয়েছেন 'সেরা রাঁধুনি ১৪২৯' এর সেরা।