কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে ৯৯৯-তে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার রায়গঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হক সরকার বলেন, কমিটির সিদ্ধান্তে গত ২২ মার্চ সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এসএম গোলাম মোস্তফাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটি কোনোভাবে মেনে নিতে পারেননি সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন। তাই তিনি ফেরত দেননি অফিসের আলমিরার চাবি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নির্দেশে সকালে সহকর্মীদের নিয়ে বিদ্যালয়ে ‘মুজিব নগর’ দিবস পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন উপস্থিত হয়ে জোরপূর্বক অফিসের দখল নেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি সভাপতিকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও বিষয়টিও জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, ম্যানেজিং কমিটি অন্যায়ভাবে গত ২২ মার্চ আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। গত ১২ এপ্রিল এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুরে আবেদন করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ এপ্রিল আমাকে এই পদে বহাল রেখে সেখান থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ১৭ এপ্রিল দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে সভাপতি আব্দুল হক সরকার বাধা দেয়।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। দু’পক্ষকেই কাগজপত্র নিয়ে ১৮ এপ্রিল কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।