সারা দেশের ন্যায় যশোরের চৌগাছাও তীব্র তাপদাহে ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
যশোর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শনিবার (১৫ এপ্রিল) যশোরের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিরও বেশি। একদিকে তাপদাহে কারণে হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। তবে শিশুদের সংখ্যা বেশি।
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স জানায়, শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ছিলেন ১৭ জন। এরমধ্যে ৯ জন শিশু, দুই নারী ও ছয় জন পুরুষ। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ভর্তি ছিলেন ১৯ জন ডায়রিয়া রোগী। যার মধ্যে পাঁচ শিশু, ছয় নারী ও আট জন পুরুষ। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ভর্তি ছিলেন পাঁচ শিশু, চার নারী ও ১৬ পুরুষ। এছাড়া এই তিনদিনে আউটডোরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন শতাধিক। এর বাইরে উপজেলা শহরের কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকেও ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ডায়রিয়া রোগীদের হাসপতালের বেডে রাখা হয় না। বারান্দায় বিশেষ ব্যবস্থা করে রাখা হয়। এজন্য খুব সামান্য অংশ ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। অতিরিক্ত খারাপ অবস্থা না হলে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হতে চান না। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আল ইমরান বলেন, অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ১২ এপ্রিল রাতে উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে একটি দাওয়াত খেয়ে ওই গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী বকশিপুর গ্রামের ১৪ জন ফুড পয়জনিংকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিন হাসপাতালে ভর্তি ডায়রিয়া রোগী ছিলেন ২৫ জন। এছাড়া প্রতিদিনই হাসপাতালে ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ভর্তি রোগী ছাড়াও অনেকেই আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, বর্তমানে যশোর অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র তাপাদহ চলছে। এই তাপমাত্রায় যে কোনো খাবার রান্না করে দুই ঘণ্টার অধিক সময় বাইরে রাখলেই খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটরিয়া তৈরি হতে পারে। যা ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, বিশেষ করে শিশুদের বিষয়ে বেশি যত্নবান হতে হবে। এ বিষয়ে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়াও ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে তীব্র তাপাদহে হিট স্ট্রোক এবং ডায়রিয়া থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।