জন্ম জিম্বাবুয়েতে, ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুটাও এখানেই তবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার পরপরই জিম্বাবুয়ে ছেড়েছিলেন গ্যারি ব্যালান্স। যোগ দেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে। সেখানে শুরু করেন নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। ইংলিশদের হয়ে ব্যালান্সের অভিষেক হয়েছিল ২০১৩। সেখানে তাকে দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সাল অবধি খেলতে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আবার ছুটে আসে নাড়ির টানে। এসে দেন নিজের সেরাটাই। অবদান রাখেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে। ভালোই চলছিল তার ফিরে আসার মুহূর্তগুলো। তবে এর মধ্যে ব্যালান্স হুট করেই বিদায় জানিয়ে বসলেন নিজের পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে।
ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ব্যালান্স জানিয়েছেন, তার মধ্যে এখন আর খেলার তাড়না কাজ করে না। তিনি ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘অনেক ভাবার পর, এই মুহূর্ত থেকেই সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। ভেবেছিলাম জিম্বাবুয়েতে আসার পর নতুন করে ক্রিকেটের আনন্দ খুঁজে পাব এবং জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আমাকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ও তাদের দলে স্বাগত জানানোর জন্য। তবে আমি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে পেশাদার ক্রিকেটের কঠোরতায় নিজেকে নিবেদিত করার তাড়না হারিয়ে ফেলেছি এবং খেলা চালিয়ে গেলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এবং ক্রিকেট খেলার প্রতিও অন্যায় করা হবে। সামনের পথচলায় তাদেরকে শুভকামনা জানাই।’
ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের হয়ে গ্যারি ব্যালান্স খেলেছেন মোট ২৪টি টেস্ট, ২১টি ওয়ানডে এবং একটি টি-টোয়েন্টি। এর মধ্যে একটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেন জিম্বাবুয়ের জার্সি গায়ে। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ ২০১৭ সালে খেলতে দেখা জায় তাকে। এর আগে তাকে প্রায় নিয়মিতই দলে দেখা গেলেও এরপর জায়গা হারিয়ে ফেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। জিম্বাবুয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে। আর জন্মভূমিতে ফিরেই গড়েন দেশের হয়ে নতুন ইতিহাস। জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলা তার এক মাত্র টেস্ট ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পান ব্যালান্স। যা জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রথম হলেও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তার। এই সেঞ্চুরির কারণে কেপলার ওয়েসেলসের পর দুই দেশের হয়ে টেস্ট সেঞ্চুরি করা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার বনে যান তিনি।