শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পানির অভাবে রাজশাহীতে ধানের জমি ফেটে চৌচির

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:১৬

খরা ও তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজশাহী। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের সরিষাকুড়ি ৪ নম্বর ডিপের মাঠে গভীর নলকুপগুলোতেও তেমন পানি উঠছে না। বোরোর জমিতে সেচ দেওয়ার জন্যও পানি মিলছে না বলে  অভিযোগ উঠেছে। 

এছাড়া পবা উপজেলার এক ডিপ অপাটারের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ফসলে সেচ না দেওয়ার অভিযোগ করেন চাষীরা।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সরোজমিন দেখা গেছে, ওই ডিপের আওতায় মাটি ফেটে গেছে। বেশ কিছু এলাকায় ধান পুড়ে সাদা হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বোরো ধানের ফলন বিপর্যয় তো বটেই ধান না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকদের দেখে কিছুক্ষণের মধ্যে ওই এলাকার কৃষকদের ভিড় বেড়ে যায়। উপস্থিত হন ডিপ অপারেটর আলম হোসেন। তার সঙ্গে সেচ নিয়ে তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ভুক্তভোগি চাষীরা।

ওই এলাকার চাষী আমিনুল, এনামুল, হান্নান, জমসেদ বলেন, এক মাস ধরে এই বিলের বেশির ভাগ জমিতে সেচ পড়েনি। তাপদাহে সেই ধানে পুড়ে খাক। শীষে ধান নেই বললেই চলে। বছরের ক্ষেত এভাবে পুড়ে গেলে না খেয়ে থাকতে হবে। অথচ প্রতি বিঘা ধানে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। তেল-সার সবকিছুর মূল্য বেড়েছে। এখন শুরু হয়েছে সেচ সংকট। ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঋণের টাকা শোধ নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন তিনি।

তাদের অভিযোগ, ‘হীন স্বার্থে’বেশিরভাগ কৃষকদের পানি না দিয়ে মুখ চেনা কয়েকজনকে পানি দিচ্ছে। যে কারণে অন্যদের জমিতে পানির অভাবে শত শত একর বোরো ধানের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে আছে। বোরো ধান পাকার সময় হয়ে এলেও বেশির ভাগ ধানের শীষ আসেনি; অনেক গাছের আগা মরে যাচ্ছে।

অনেক চাষী বলেন, এ ফসলে পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারতেন। ফসল নষ্ট হলে তো বউ ছেলে নিয়ে পথে বসতে হবে। এখন ধানের চারায় ফুল এসেছে আর এ সময়ে পানির অভাবে চারা শুকিয়ে ধূসর বর্ণ ধারণ করছে। এই  ফসল ঘরে তুলতে না পারলে, না খেয়ে থাকতে হবে।

তারা বলেন, এ অবস্থায় কোনো কৃষি কর্মকর্তা আমাদের কাছে আসেননি ও পরামর্শ দেননি।

ডিপ বন্ধ ও মুখ চেনে পানি দিচ্ছেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন ডিপ অপারেটর আলম হোসে বলেন, ডিপে পানি কম ওঠায়  এমনটি হচ্ছে। এটা একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এতে আমার কিছু করার নাই।

ঈদের ছুটি থাকায় রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক মাজদার হোসেন সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

ইত্তেফাক/আরএজে