শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

পদ্মারপাড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৪৪

ঈদুল ফিতরের ছুটিকে ঘিরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতু এলাকা ও পদ্মা পাড়ে বিনোদন কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দে ভাসছেন দর্শনার্থীরা

উপজেলার কলমা ইউনিয়নের থেকে শিমুলিয়া পদ্মা সেতু এলাকা পর্যন্ত পদ্মার পাড়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলো সরেজমিনে দেখা গেছে, লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট, পদ্মা সেতু এলাকা, ঘোরদৌড় বাজার পুরান থানা, মৃধা বাড়ি, শামুরবাড়ী, সিনহার বাড়ি, ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও স্পিডবোটে ভ্রমণ, পদ্মার চড়ে নয়নাভিরাম দৃশ্য, সবুজের সমারোহ সব বয়সী মানুষের আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। শিমুলিয়া ঘাট ও শামুরবাড়িতে বসছে হরেক রকম খেলনার দোকান ও নাগর দোলা।

শিমুলিয়া ঘাটে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানীসহ এর আশাপাশের এলাকা থেকে বহু পর্যটক আসছেন। তাই গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকরা হোটলগুলোতে ভিড় করেছেন।

রাজধানী ও আশাপাশের এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা পদ্মার পাড়ে বেড়াতে আসেন। ছবি: ইত্তেফাক

পদ্মা নদীর তীরে ঈদ উদযাপনে বিনোদন প্রেমীদের কাছে অন্যতম স্পটে পরিণত হয়ে উঠেছে পদ্মার পাড়ে। একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে বালুময় ঢালু তীরে। পাশেই পদ্মার চরে ঘাস বন, হিমেল হাওয়ায় দোল খাচ্ছে সবুজ ঘাস। এ যেন এক সমুদ্র সৈকত। তাই ঈদের আনন্দে প্রকৃতির এমন আয়োজন উপভোগ করতে শামুরবাড়ী ইউনুছ খান-মাহমুদা খানম মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে প্রতিদিন ছুটছেন হাজারও মানুষ।

সোমবার (২৪ এপ্রলি) সরেজমিনে দেখা গেছে, লৌহজং উপজেলার উপজেলার পদ্মা তীরের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে মানুষ। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, আবার কেউ বন্ধুদের সঙ্গে দল বেধে। সবাই ঈদ আনন্দে উৎফুল্ল। নদী তীরের নয়নাভিরাম পরিবেশ আর মানুষের মিলন মেলায় যেন আরেকটি মিনি কক্সবাজারে রূপ নিয়েছে পদ্মার তীর।

রাজধানী ধানমন্ডি থেকে শিমুলিয়া ঘাটে ঘুরতে আসা কলেজছাত্রী ফারহানা হক বলেন, পদ্মা সেতু দেখতে পদ্মার পাড়ে এলাম। এতো বাতাস মন জুড়ে যাচ্ছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো বাতাস।

মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ীর বালিগাঁও থেকে ঈদের ছুটিতে আসা সজিব বেপারী বলেন, পদ্মার পাড়ে মৃধাবাড়ী ও শামুরবাড়ির এ জায়গাটি অপূর্ব। গত কয়েক বছর ধরে এখানে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসি।

পদ্মা নদীর তীরে বিনোদন প্রেমীদের কাছে অন্যতম স্পটে পরিণত হয়ে উঠেছে। ছবি: ইত্তেফাক

আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, সুবচনী থেকে ট্রলারে করে বন্ধুরা সবাই মিলে পদ্মা নদীতে ঘুরতে আসছি। আমরা পদ্মার চরে নেমে গোসল করলাম।

ঢাকা থেকে আত্মীয় বাসায় বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী শরীফ হোসেন বলেন, জেলায় বিনোদন কেন্দ্রের অভাবে মানুষের যাওয়ার জায়গা নেই। এ জায়গাটি সুন্দর। নদীর পাড়ের স্নিগ্ধ পরিবেশ, শীতল বাতাস সবারই ভালো লাগবে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, পর্যকদের কথা চিন্তা করে নিরাপত্তা জোরধার করা হয়েছে। এছাড়া এখানে ইকো পোর্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইকো পোর্ট হলে পর্যটকা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবে।

ইত্তেফাক/আরএজে